তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এজন্য আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) থেকে আদেশ জারি করা হয়েছে। স্কুল খুললেও সমাবেশ (অ্যাসেম্বলি) বন্ধসহ শিক্ষার্থীদের মানতে হবে বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোতে রোববার থেকে স্কুল-কলেজ খোলার প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মাউশি অধিদপ্তরের পরিচালক (মাধ্যমিক) অধ্যাপক সৈয়দ জাফর আলী আজ বিকেলে সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘আগামী রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে। আমরা সে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছি।‘ তিনি বলেন, ‘স্কুল খুললেও শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। বিদ্যালয়ে আপাতত এসেম্বলি বন্ধ থাকবে।’
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নতুন করে আরও তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই তিন দিন পর তাপমাত্রা কমবে কি না সেটারও নিশ্চয়তা নেই। পুরো এপ্রিল মাসজুড়েই তাপপ্রবাহ চলমান থাকবে। মে মাসের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা।
এদিকে সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিন দিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই।
আজ বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জানা গেছে, আগামীতে আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে শনিবারও সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ক্লাস চালু রাখার পথে হাঁটছে সরকার।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তাপপ্রবাহের কারণে ঘোষিত ছুটি আজ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। শুক্র ও শনিবার সরকারি ছুটি। ফলে ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হবে। সরকারের মধ্যে আলোচনায় কয়েকটি বিষয় উঠে এসেছে। সেগুলো হলো- দেশের বর্তমান তাপমাত্রা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নয়। তাছাড়া দেশের সব অঞ্চলের বর্তমান তাপমাত্রাও সমান নয়। এজন্য আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে।
আগামী রোববার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা এবং ক্লাস চালু হলেও শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষের বাইরের কোনো কার্যক্রম থেকে বিরত রাখতে হবে। এছাড়া পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। এছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে শিখন ঘাটতি পূরণে ৪ মে থেকে শনিবারও ক্লাস চালু রাখা হবে।