পর্তুগীজ তারকা ফুটবলার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলা খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক জেনিফার ডোরসি। মামলা থেকে পুরোপুরি অব্যাহতি পেলেন তিনি।
চাইলেও পুনরায় মামলা করতে পারবেন না ক্যাথরিন মায়োরগা নামের সেই নারী। ২০০৯ সাল। লাস ভেগাসে ঘুরতে গিয়ে একটি হোটেলে ক্যাথরিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয় রোনালদোর। যা একপর্যায়ে শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। কিন্তু পরের বছরই এই ঘটনাকে ধর্ষণ বলে অভিযোগ করতে থাকেন ক্যাথরিন। এমনকি মামলার হুমকিও দেন।
তখন ক্যাথরিনকে চুপ রাখার জন্য প্রায় পৌনে ৪ লাখ ডলার দিয়েছেন রোনালদো। সে দফায় কোর্টের বাইরেই নিষ্পত্তি ঘটে দুই পক্ষের বিরোধের। কিন্তু পরে আবারও এ বিষয়ে অভিযোগ তোলেন ক্যাথরিন। তার অনুরোধের ভিত্তিতে ২০১৮ সালের আগস্টে আবারও এ বিষয়ে আইনী তদন্ত শুরু হয়।
ক্যাথরিনের অভিযোগের বিপরীতে রোনালদোর লিগ্যাল টিম শুরু থেকেই দাবি করে আসছিল, দুজনের মধ্যে যা হয়েছিল সবই পারস্পরিক সম্মতিতে হয়েছে। তাই এ মামলার কোনো ভিত্তি নেই। রোনালদোকে কারণ ছাড়াই হয়রানি করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এটিই সত্য প্রমাণিত হলো।
বিচারক জেনিফার ডোরসি তার ৪২ পৃষ্ঠার রায়ে জানিয়েছেন, পুনরায় আর এই মামলা করা যাবে না। পাশাপাশি রোনালদোর সঙ্গে করা খারাপ আচরণের কারণে শাস্তির মুখে পড়তে হবে ক্যাথরিনের আইনজীবী লেজল মার্ক স্টোভালকে। এছাড়া কোর্টে উপস্থাপিত কাগজপত্র বেশিরভাগই সাজানো ছিল বলে উল্লেখ করেছেন বিচারক।