আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলার ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
আজ বৃহস্পতিবার সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে টিসিবির জন্য একাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় ক্রয়ের প্রস্তাব অনুমোদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ভোজ্যতেল, চিনি, ছোলাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ওপর আরোপিত শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। মূলত রমজান মাসে যেসব পণ্য বেশি প্রয়োজন, সেসব পণ্যের শুল্ক প্রত্যাহার হয়েছে। কারণ সবাই এগুলোর ভোক্তা। সয়াবিনের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ভোক্তাপর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জিনিসের দাম যাতে সহনীয় পর্যায়ে থাকে, সেজন্য যেসব পণ্যের ওপর শুল্ক ছিল, সেগুলো তুলে নিয়েছি। সরকার থেকে যে সহযোগিতা প্রয়োজন, সেটা পূর্ণমাত্রায় করা হচ্ছে।’
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, ‘টিসিবি সবসময় কাজে লাগে না। সারাবছর সাধারণত এর প্রয়োজনও হয় না। মাঝে মাঝে প্রয়োজন দেখা দেয়। তখন সরকারকে ফ্লেক্সিবল অবস্থায় থাকতে হয়। কারণ, যখন যেটা প্রয়োজন দেখা দেয়, তখন সেটার জন্য ব্যবস্থা করতে হয়। সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার, সবই করা হচ্ছে।’
সভা শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে তেল, চিনি, ছোলা ও মসুর ডাল এই চারটি পণ্য কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চারটি পণ্যর মধ্যে এক কোটি ৭১ লাখ ১৫ হাজার ৬৫২ লিটার সয়াবিন তেল, ১৪ হাজার টন চিনি, ১০ হাজার টন ছোলা এবং ১৯ হাজার ৫০০ টন মসুর ডাল কেনার চারটি প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে সরকারের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯১ কোটি ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৫৩৬ টাকা।