রোজার আগেই দম চড়া ছিল ব্রয়লার মুরগির। কেজি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছে। এরপর রমজানের শুরুতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে এবং বৃহৎ চার পোল্ট্রি কম্পানির মালিক দাম নির্দিষ্ট করে দেওয়ায় খুচরা বাজারে দাম কমে। সাতদিনের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কেজি নেমেছিল ২০০ টাকায়। রাজধানীর বাহিরে ১৮০-১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ব্রয়লার।
গত দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বেড়ে গেছে ব্রয়লারের দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি দাম কেজিতে ২০-৩০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে সোনালী মুরগি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে ৩৫০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রোজা শুরুর দেড়-দুই মাস আগে থেকেই অস্থির হয়ে উঠছিল মুরগির বাজার। যা রোজার দুই দিন আগে রেকর্ড দাম বেড়ে বিক্রি হয় ব্রয়লার মুরগি কেজি ২৭০ টাকা এবং সোনালী মুরগি কেজি ৩৮০ টাকায়। গত ২৩ মার্চ জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈঠক এবং এফবিসিসিআই সরকারকে মুরগি আমদানি উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরামর্শ দিলে বৃহৎ খামারিরা দাম কমিয়ে মুরগি বিক্রি শুরু করে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানেই ব্রয়লার মুরগি কেজিতে ৭০-৮০ টাকা পর্যন্ত কমে ১৯০-২০০ টাকায় চলে আসে। একই সঙ্গে সোনালী মুরগি কেজিতে ৩০-৪০ টাকা কমে ৩৪০ টাকায় নেমে আসে।
আজ রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সেগুনবাগিচা ও রামপুরা কাঁচাবাজার ঘুরে এবং ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে নতুন করে মুরগির দাম বেড়ে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে কেজি ২২০ টাকা, সোনালী মুরগি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৩৬০ টাকায়। দাম কমে গত ২-৩ দিন আগে ব্রয়লার মুরগি কেজি ১৯০-২০০ টাকায় এবং সোনালী মুরগি কেজি ৩৪০-৩৫০ টাকায় বিক্রি হয়।
কারওয়ান বাজারের ব্রয়লার হাউসের ব্যবসায়ী আমজাদ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রায় এক সপ্তাহ মুরগির দাম কমার পর দুইদিন ধরে আবার বাড়তে শুরু হয়েছে। পাইকারিতে বাড়ার কারণে খুচরায় কেজিতে ব্রয়লার মুরগি ২০-৩০ টাকা এবং সোনালী মুরগি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে।’