করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অবস্থায় থাকা রোগীদের রেমডেসিভির প্রদানের নির্দেশনামূলত তথ্য-উপাত্ত প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। ওষুধটির প্রাথমিক পরীক্ষা শেষে তাদের দেওয়া ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে।
গবেষকরা বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় কেবল রেমডেসিভির যথেষ্ট নয়। তবে এই ওষুধ ব্যবহারের ফলে চিকিৎসার সময় ১৫ থেকে ১১ দিন পর্যন্ত কমে যাচ্ছে।
গবেষকরা আরো বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের রেমডেসিভির ১০ দিন দেওয়ার ফলে ফল এসেছে। তবে রেমডেসিভির ব্যবহার করলেই করোনা চলে যাবে না এবং এটি দ্রুত কাজ করে না।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকটিয়াস ডিজিসের গবেষকরা বলছেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর অক্সিজেন দিতে হচ্ছে, এরকম গুরুতর রোগীদের রেমডেসিভির দেওয়া যাবে। এটি ব্যবহারের পরেও মৃত্যুহার বেশি হতে পারে। আর এই ওষুধ একা যথেষ্ট নয়। করোনা থেকে রোগীদের সুস্থ করতে হলে রেমডেসিভিরের সঙ্গে অন্য ওষুধও ব্যবহার করতে হবে।
তবে চিকিৎসা শুরুতেই শুরু করার জন্য এই ওষুধ দেওয়া যেতে পারে। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকটিয়াস ডিজিসের গবেষকদলের প্রধান ডা. জন বেইগেল বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষণগুলো করোনা রোগী শনাক্তের পর দ্রুত চিকিৎসা শুরুর ব্যাপারে গুরুত্ব দেয়।
এদিকে গত মাসেই মার্কিন ফেডারেল সরকার এবং সে দেশের খাদ্য ও ওষুধ কর্তৃপক্ষ জরুরি প্রয়োজনে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এমনকি প্রাথমিক পারীক্ষা চলা অবস্থায় সেই অনুমোদন আসে।
গবেষক দল ১০৬৩ জনের ওপর পর্যবেক্ষণ চালিয়েছেন। যাদের রেমডেসিভির দেওয়া হয়েছে, তারা গড়ে ১১ দিনে সেরে উঠেছেন। যাদের অন্য চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে, তাদের সারতে সময় লেগেছে ১৫ দিন। রেমডেসিভির দেওয়া সাত শতাংশ রোগী মারা গেছে। অন্য চিকিৎসা নেওয়া ১১.৯ শতাংশ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
গবেষকরা বলছেন, যেসব রোগীদের অক্সিজেনের দরকার পড়ছে, তাদের ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ভালো কাজে দিচ্ছে।