বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ এখন কঠিন অবস্থায় পড়েছে। তারা রিজার্ভ নিয়ে বড় বড় কথা বলত। সেই রিজার্ভ কোথায় গেল? রিজার্ভ তারা চিবিয়ে নয়, গিলে খেয়েছে। গোটা দেশের অর্থনীতিকেই তারা গিলে খেয়ে ফেলেছে। আমদানির মূল্য শোধ হয় রিজার্ভ থেকে, ঋণের টাকা শোধ হয় রিজার্ভ থেকে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, পায়রা বন্দরে খরচ হয়েছে। জানতে চাই, কীভাবে খরচ হলো? হিসাব দিতে হবে।’
আজ শুক্রবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ সরকারের অধীন নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে আয়োজন করা হয় এ আলোচনা সভা।
বিএনপির সমাবেশের খবর বেশি করে প্রচার পাওয়া গণমাধ্যমের ওপর সরকার খবরদারি করছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচন পরে, তার আগে এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। এই অবৈধ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন নয়। সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করতে হবে। যতক্ষণ তা না হচ্ছে, দেশের মানুষকে ততক্ষণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে লড়াই করতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর পর আমরা দেখছি, যা ছিলাম তার চেয়ে খারাপ অবস্থায় আছি। আমরা কথাও বলতে পারছি না। আমাদের সভা করতে দেওয়া হয় না, সমাবেশ করতে দেওয়া হয় না। করতে গেলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আঘাত করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে নির্যাতন করা হয়। জ্বালানি তেল ও দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির এ সমাবেশ শুরু হয়েছিল। কিন্তু সেই আন্দোলনে মানুষকে গুলি করে হত্যা করেছে, আহত করেছে।’