শুক্রবার রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছিল দিল্লি পুলিশ। রবিবার সকালে তাঁর দিল্লির বাড়িতে পৌঁছে গেল পুলিশ। এএনআই দাবি করেছে, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-য় ‘যৌন হেনস্থা’-র শিকার যে মহিলাদের কথা তিনি বলেছিলেন, সেই নিয়েই তথ্য সংগ্রহ করতে রাহুলের বাড়িতে দিল্লি পুলিশ।
শ্রীনগরে পৌঁছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’-র শেষে রাহুল বলেছিলেন, দেশে অনেক মহিলাই যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। শুক্রবার দিল্লি পুলিশ সেই নিয়ে রাহুল গান্ধীকে নোটিস পাঠায়। কোন মহিলা যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে রাহুলকে প্রশ্নাবলি পাঠানো হয়।
রাহুলকে পাঠানো নোটিসে বলা হয়েছে, রাহুল যৌন নির্যাতনের শিকার মহিলাদের তথ্য দিলে পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করতে পারে। রাহুল শ্রীনগরে জানিয়েছিলেন, ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র সময় একটি মেয়ে তাঁকে এসে বলে, সে ধর্ষণের শিকার। কেন সে পুলিশের কাছে যাচ্ছে না, জানতে চাওয়ায় মেয়েটি বলে, পুলিশকে বললে তাকেই সমাজে লজ্জার মুখে পড়তে হবে। এই মন্তব্যের উল্লেখ করে পুলিশ ওই মেয়েটি সম্পর্কেও বিশদ তথ্য জানতে চেয়েছে।
অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে রয়েছে দিল্লি পুলিশ। তাদের এই পদক্ষেপ নিয়ে কংগ্রেসের খোঁচা, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও আদানির সম্পর্ক নিয়ে রাহুলের প্রশ্নে জেরবার মোদী সরকার এখন পুলিশের পিছনে লুকোচ্ছে।
‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র ৪৫ দিন পরে দিল্লি পুলিশ নোটিস পাঠাচ্ছে। আইন মেনে নোটিসের উত্তর দেওয়া হবে। সরকার যে আতঙ্কিত, নোটিস তারই প্রমাণ। সরকার তাই বিরোধীদের ভূমিকা, বাক্স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, মহিলাদের ক্ষমতায়নে আঘাত করতে চাইছে।’’