রাহুলের জন্যই আত্মহনন থেকে সরে এসেছি: কন্নড় নায়িকা রম্যা
কোনও নায়িকার জীবনে রাজনৈতিক নেতার প্রভাব কতটা থাকতে পারে?
স্বরা ভাস্কর-ফহাদ আহমেদ, পরিণীতি চোপড়া-রাঘব চড্ডা জুটির পরে এই প্রশ্নই স্বাভাবিক।
সেই চর্চা আরও খানিক উস্কে দিলেন কন্নড় নায়িকা দিব্যা স্পন্দনা ওরফে রম্যা। সম্প্রতি তিনি একটি রিয়্যালিটি শো-তে এসেছিলেন। সেখানেই তাঁর দাবি, তাঁর জীবনে মা-বাবার পরেই রাহুল গান্ধির প্রভাব! তাঁকে মানসিক দিক থেকে এক সময় যথেষ্ট সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। রাহুলের জন্যই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেননি!
রিয়্যালিটি শো-তে রম্যা অকপটে জানিয়েছেন তাঁর অতীত। তখন সদ্য তাঁর বাবা আরটি নারায়ণ মারা গিয়েছেন। রম্যার কাছে তাঁর বাবা সব। তাঁকে হারিয়ে পায়ের তলা থেকে যেন মাটি সরে গিয়েছিল। তার উপরে সংসদের কাজ জানতেন না। এবং নির্বাচনে হেরেও গিয়েছিলেন। সব দিক থেকে ধাক্কা খেতে খেতে নিজের উপরে বীতশ্রদ্ধ হয়ে পড়েছিলেন। অবসাদে ভুগতে ভুগতে এক সময় ঠিক করেছিলেন, আত্মহত্যা করবেন। তখনই তিনি রাহুল গান্ধির সংস্পর্শে আসেন। রম্যা কংগ্রেসে যোগ দিয়ে ২০১৯-এর সাধারণ নির্বাচনে লড়েছিলেন। কংগ্রেসের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। সেই সময় মানসিক ভাবে রাহুল তাঁকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
রম্যার কথায়, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রভাব আমার মা, তার পরে আমার বাবার। এই তালিকায় তৃতীয় রাহুল গান্ধি। আমি যখন আমার বাবাকে হারিয়েছিলাম জীবন শেষ করে দেওয়ার চিন্তা করেছিলাম। আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। তখন নির্বাচনেও হেরেছিলাম। সেটা ছিল শোকের সময়। সেই সময়ে, রাহুল আমাকে সহযোগিতা করেছিলেন। আমাকে মানসিকভাবেও সমর্থন করেছিলেন। যদিও তাঁর উপস্থিতি, নির্বাচনের ফলাফল দলের পক্ষে ছিল না।