১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির গণসমাবেশের অনুমতি প্রসঙ্গে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, ‘আমরা ঢাকার কোনো জায়গায় খোলা রাস্তাঘাটে কাউকে সমাবেশের অনুমতি দিতে পারি না। তবে খোলা মাঠ হলে বিবেচনার বিষয় থাকে।’ আজ সোমবার সন্ধ্যায় ডিএমপি কমিশনার সমকালকে এ কথা বলেন।
আরামবাগে বিএনপি সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে কি না জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সেটিও একটি রাস্তা, আমরা জনসমাবেশের জন্য জনগণকে দুর্ভোগে ফেলতে পারি না।’
তাহলে বিএনপি কোথায় সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘তাদেরকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তারা সেখানে সমাবেশ করতে পারে।’
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকাসহ ১০ বিভাগীয় শহরে গণসমাবেশের ঘোষণা করে বিএনপি। সে অনুযায়ী দলটি ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে, ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী গণসমাবেশ করে।
গণসমাবেশের ধারাবাহিকতায় এবার সর্বশেষ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে রাজধানীতে। সে হিসেবে আগামী ১০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের জায়গায় গণসমাবেশ করতে চায়।
তবে এবার দলটির ঘোষিত ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ নিয়ে এরই মধ্যে আপত্তি আসে ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে। পাশাপাশি ঢাকা শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তাদের পছন্দের ভেন্যুর পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানকে বিএনপির জন্য বরাদ্দ দেয়।
বিএনপিকে ২৬ শর্তে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণসমাবেশের অনুমতি দেয় ডিএমপি। দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে পাঠানো চিঠিতে ডিএমপি বলেছে, নয়পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করলে যানজট ও নাগরিক দুর্ভোগ সৃষ্টি হবে বিধায় সেখানে অনুমতি দেওয়া যাচ্ছে না।