মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজের আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সেই সঙ্গে অযৌক্তিক রিট করে আদালতের সময় নষ্ট করায় রিটকারী আইনজীবী এম এ আজিজ খানকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। এর ফলে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রইল।
আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, অযৌক্তিক রিট করে আইনজীবী এম এ আজিজ খান আদালতের সময় নষ্ট করেছেন।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারি আইনজীবী এম এ আজিজ খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। আদেশের পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাইকোর্টে খারিজাদেশ আপিল বিভাগ বহাল রেখেছেন। তাই রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে ইসির জারি করা প্রজ্ঞাপন বৈধ।
রাষ্ট্রপতি পদে মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে ৭ মার্চ একটি রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম এ আজিজ খান।
রিটে মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে প্রকাশ করা গেজেটের কার্যকারিতা স্থগিত চাওয়া হয়। এ ছাড়া অপর একটি রিট দায়ের করেন আইনজীবী আবদুল মোমেন চৌধুরী। পরে ১২ মার্চ ওই দুটি রিট বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি আহমেদ সোহেল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির জন্য উঠে।
বিচারপতি আহমেদ সোহেল এ বিষয়ে শুনানি করতে বিব্রত বোধ করেন। পরে ওই দুটি রিট আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতি বিধি অনুযায়ী বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠান।
১৫ মার্চ ওই দুই রিটের শুনানি নিয়ে তা খারিজ করেন হাইকোর্ট। এরই ধারাবাহিকতায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ গ্রহণের পর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।