রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় পাকিস্তানের সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত। মঙ্গলবার দেশটির বিশেষ আদালতের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই রায় দেয়।
দেশটির সংবাদ মাধ্যম ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পেশওয়ার হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওয়াকার আহমেদ শাহ’র নেতৃত্বাধীন সিন্ধ হাইকোর্টের বিচারপতি নাজার আকবার এবং লাহোর হাইকোর্টের বিচারপতি শহীদ করিম এর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালত যখন সাবেক রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণা করে, তখন হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ছিলেন পারভেজ মোশাররফ। পাকিস্তানের প্রভাবশালী গণমাধ্যম ডন অনলাইনের খবরে বলা হয়, সাবেক প্রেসিডেন্ট ও সামরিকপ্রধান পারভেজ মোশাররফ এখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের দু্বাইয়ে অবস্থান করছেন।
২০০৭ সালের ৩ নভেম্বর অবৈধভাবে জরুরি অবস্থা জারির জন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ২০১৩ সাল থেকে বিভিন্ন মামলায় অভিযুক্ত হয়েছেন তিনি।
পাকিস্তানের ইতিহাসে কোনো বেসামরিক আদালতে দেশদ্রোহের অভিযোগে কোনো সামরিক কর্মকর্তার এটাই প্রথম বিচারের রায়।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে এক ভিডিওবার্তায় মোশাররফ বলেন, এই রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা একেবারেই ভিত্তিহীন।
তিনি বলেন, আমি ১০ বছর পাকিস্তানকে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি আমার দেশের জন্য লড়েছি। রাষ্ট্রদ্রোহের যে মামলা আমার বিরুদ্ধে দেয়া হয়েছে তাতে আমি ভুক্তভোগী। আমার প্রতি অন্যায় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, জেনারেল পারভেজ মোশাররফ সামরিক ক্যুর মাধ্যমে ১৯৯৯ সালে ক্ষমতা দখল করেন এবং ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রেসিডেন্ট ছিলেন। দোর্দণ্ড এই প্রতাপশালী শাসক টানা ১০ বছর পাকিস্তান শাসন করেন। তার শাসনকাল নিয়ে নানা সমালোচনাও রয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ, জরুরি অবস্থা জারি, বেআইনি উপায়ে বিচারপতি বরখাস্ত, বেনজির ভুট্টো হত্যা এবং লাল মসজিদ তল্লাশি অভিযান-সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি মামলায় পলাতক রয়েছেন সাবেক এই পাক সেনাপ্রধান।