The news is by your side.

রাশিয়া যুদ্ধে না পেরে এভাবে জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে : জেলেনস্কি

0 138

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি অভিযোগ করেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ান সেনারা খুব একটা পেরে উঠতে না পারায় ক্রেমলিন ‘জ্বালানি সন্ত্রাস’ চালাচ্ছে। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, জ্বালানি নেটওয়ার্কে রাশিয়ার হামলার কারণে ৪৫ লাখ মানুষ বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিলেন। গত কয়েক সপ্তাহে ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোতে রাশিয়া বড় আকারের ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে।

রাশিয়ান সেনারা দক্ষিণের গুরুত্বপূর্ণ  শহর খেরসন থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিতে পারে—কর্মকর্তাদের এমন বক্তব্যের পর রাশিয়া ইউক্রেনের বিদ্যুৎকেন্দ্রে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে একের পর পর পরাজয়ের কারণে রাশিয়া বিদ্যুৎ অবকাঠামোগুলোতে হামলা চালাচ্ছে।

প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, গত মাসে হামলায় দেশের এক–তৃতীয়াংশ বিদ্যুৎকেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এ কারণে ইউক্রেন সরকার জনগণকে বিদ্যুতের পরিমিত ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করতে বাধ্য হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, ‘আজ রাতে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষকে সাময়িকভাবে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় থাকতে হবে। জ্বালানি অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তু করা রাশিয়ার দুর্বলতার লক্ষণ। যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ান বাহিনীর একের পর পরাজয়ের কারণেই তারা এমন করছে। তাঁরা যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনকে পরাজিত করছে পারছে না। তাই এভাবে জনগণকে কষ্ট দিচ্ছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামো এখন তাদের লক্ষ্যবস্তু। সম্প্রতি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে, কিরিল স্ট্রেমাসভ নামের একজন রাশিয়ার কর্মকর্তা বলেছেন, রাশিয়ার সেনারা ইউক্রেনের দখল করা খেরসন শহর ছেড়ে যেতে পারে।

আর নাম প্রকাশ না করার শর্তে পশ্চিমা একজন কর্মকর্তা বলেছেন, খেরশন থেকে রাশিয়ার অধিকাংশ কমান্ডিং সেনা ইতিমধ্যে নিজেদের প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। খেরসন শহরের নিয়ন্ত্রণ রাখার পরিবর্তে রাশিয়ার সেনারা নিপ্রো নদীর ওই পাড়ে প্রতিরক্ষাব্যবস্থা গড়ে তুলছে।

বিবিসির আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি পল অ্যাডামস বলেছেন, খেরসনের ব্যাংকগুলো খালি করা হয়েছে এবং জাদুঘরগুলো লুট করে ফাঁকা করে ফেলা হয়েছে। দখলদার কর্তৃপক্ষ গত কয়েক সপ্তাহে এই এলাকা থেকে হাজারো বেসামরিক মানুষকে সরিয়ে অন্যত্র নিয়েছে।

তবে ইউক্রেন বলছে, এখনো যুদ্ধ চলছে। রাশিয়া ইউক্রেনের সেনাদের জন্য ফাঁদ তৈরি করে রেখেছে। এ বিষয়ে ইউক্রেন সতর্ক আছে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মার্চে রাশিয়া খেরসন শহর দখল করে নেয়। চলমান এই যুদ্ধে খেরসন শহর দখলকে রাশিয়ার উল্লেখযোগ্য অর্জন হিসেবে দেখা হয়।

Leave A Reply

Your email address will not be published.