সেন্সরবোর্ড আটকে দিলো রায়হান রাফীর আলোচিত সিনেমা ‘অমীমাংসিত’। সিনেমাটির চুলচেরা বিশ্লেষণে বোর্ড বলছে, এতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তুর সঙ্গে বাস্তবতার মিল রয়েছে। যে কারণে তা জনসাধারণের মধ্যে ‘প্রদর্শন উপযোগী নয়’।
সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, বুধবার সিনেমাটির প্রযোজক শহিদুল আলম সাচ্চুকে দেওয়া সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ কথা জানানো হয়েছে।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি সিনেমাটির টিজার সামনে এলে অনেকে বলছিলেন, সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে বানিয়েছেন রাফী। কেউ আবার আলোচিত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে এর মিল খুঁজে পান। যদিও সিনেমা সংশ্লিষ্ট কেউ কিংবা সেন্সর বোর্ডও সরাসরি সাগর-রুনির নাম বলেননি।
সেন্সর বোর্ড বলছে এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। চলচ্চিত্রটির কাহিনী বিচারাধীন মামলার সঙ্গে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।
সেন্সর বোর্ডের চিঠিতে বলা হয়, গত ৩ মার্চ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিনেমাটি পরদিন ৪ মার্চ সেন্সর বোর্ডের সদস্যরা পরীক্ষা করেন। এরপর সেটি অধিকতর যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ২২ এপ্রিল বোর্ড সদস্যরা পুনরায় পরীক্ষা করেন। পুনরায় যাচাই শেষে বোর্ড সভায় চলচ্চিত্রটির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সেন্সর বোর্ডের সদস্যদের মতে, ‘দি কোড ফর সেন্সরশিপ অব ফিল্মস ইন বাংলাদেশ, ১৯৮৫ এর ১ এর প্রথম, পঞ্চম ও সপ্তম দফায় বর্ণিত উপাদানসমূহ বিদ্যমান থাকায় ‘অমীমাংসিত’ চলচ্চিত্রটি জনসাধারণের মধ্যে প্রদর্শন উপযোগী নয়।
ফলে ‘দি বাংলাদেশ সেন্সরশিপ অব ফিল্মস রুলস, ১৯৭৭’ এর বিধি ১৬ (৫) অনুযায়ী চলচ্চিত্রটির সেন্সরপত্রের আবেদন বাতিল বা সেন্সরপত্র দিতে অস্বীকারের কথা জানায় সেন্সরবোর্ড। তবে সিনেমাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা চাইলে আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন সেন্সর বোর্ডের উপপরিচালক মো. মঈনুদ্দীন।