বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে আজ রাত ৮টার মধ্যে সারাদেশে দোকান, বিপণিবিতান, শপিংমলগুলো বন্ধের বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। শপিংমল, দোকানপাট বন্ধের বিষয়গুলো মনিটরিং করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সার্বিক বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে সরকার বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১১৪ কঠোরভাবে প্রতিপালনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি, এফবিসিসিআইসহ সব ব্যবসায়ী সংগঠন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনার প্রতি সম্মান জানিয়ে সরকারের এ উদ্যোগ সর্বসম্মতিক্রমে মেনে নিয়েছেন।
রাজধানীসহ সারাদেশে বিভাগীয় শহর ছাড়াও জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আজ ৮টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হবে বিভিন্ন দোকান ও শপিংমল।
অপরাধী নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা এসব বিষয় প্রতিপালন করতে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে সরকারি নির্দেশনা তারা পেয়েছেন এবং সে অনুযায়ী কর্তৃপক্ষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন।
কর্মকর্তারা বলছেন, আগেও রাত ৮টার মধ্যে শপিংমল ও বিভিন্ন দোকান বন্ধের নির্দেশনা ছিল, কিন্তু বন্ধ করতে করতে ৯টা- সাড়ে ৯টা বাজিয়ে দিতো। কিন্তু আজ থেকে রাত ৮টার মধ্যে দোকান ও শপিংমল বন্ধ করে দিতে হবে। আমরা প্রাথমিকভাবে দোকান মালিক এবং শপিংমল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি, তাদের বোঝানো হচ্ছে। সিভিল প্রশাসন নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে এসব বিষয় মনিটরিং করা হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, তারা যেন সরকারি নির্দেশনা মেনে নির্ধারিত সময়ে দোকান ও শপিংমলগুলো বন্ধ করে দেন, সেই অনুযায়ী কাজ করা হচ্ছে। বাড়তি দায়িত্ব হলেও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী যেকোনও ধরনের কাজ করে যাচ্ছে আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি উত্তরা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার তাপস কুমার বলেন, ‘সব থানার বিট অফিসারকে সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট শপিংমল এবং দোকানপাটের ব্যবসায়ী ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলতে বলা হচ্ছে। তারা যেন রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করে দেন সে বিষয়গুলো আমরা মনিটরিং করছি।’