মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত রাজাকারের তালিকা নতুন করে যাচাই-বাছাই করে সংশোধন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার আওয়ামী লীগ কার্যালয় জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজাকারের তালিকায় ভুল-ত্রুটি নিয়ে ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীও এ তালিকা নতুন করে যাচাই-বাছাই করে সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন। সুতরাং এটি নিয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই।
প্রসঙ্গত একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে নানাভাবে সহায়তাকারী ব্যক্তিদের প্রথম দফা তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ১৫ ডিসেম্বর প্রকাশিত ১০ সহস্রাধিক রাজাকারের এ তালিকায় মুক্তিযোদ্ধাদের নামও ঢুকে পড়েছে। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে দেশব্যাপী। তালিকা বাতিলের দাবি উঠছে বিভিন্ন ফোরাম থেকে। আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানালেন, ওই তালিকা সংশোধন করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, আগামী ২০ ও ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় জাতীয় সম্মেলন সর্ববৃহৎ হবে। এ সম্মেলনের মাধ্যমে নবীন ও প্রবীণের সমন্বয় ঘটানো হবে। যারা আধুনিক ও সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ গড়ে তুলবেন।
সম্মেলনকে সামনে রেখে আভ্যন্তরীন কাদা ছোঁড়াছুড়ি থেকে বিরত থাকতে বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘কারও অতিউৎসাহী ভক্ত হয়ে অন্য কারও বিরুদ্ধে অপপ্রচার, ফেইসবুকে অপপ্রচার। এই বিষয়গুলো সম্মেলন আসলে হয়। এগুলো কাকে দেখাতে চান? কে কী নেত্রী (শেখ হাসিনা) ভালো করেই জানেন। সম্মেলনের সময় ফেইসবুকে কারও চরিত্র হনন করা, এটা একটা নোংরা কাজ। এই নোংরা কাজ যারা করছে, তাদের চিহ্নিত করতে হবে, বিরত রাখতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে দায়িত্ব দেবেন সবাই তাকে মেনে নেবেন জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ আওয়ামী লীগের জন্য অপরিহার্য নয়। আমরা তার নেতৃত্বের পেছনে থাকব। তিনি যাকে যে দায়িত্ব দেবেন, তা মেনে নিতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, কোনো নেতার ছবির সঙ্গে অন্যের ছবি দিয়ে পোস্টার টাঙাবেন না। যারা এটি করেছেন আজই তা সরিয়ে ফেলবেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবাই বড় হতে চায়, প্রতিযোগিতা থাকবে তবে নেতা হওয়ার জন্য একজন আরেকজনের সমালোচনা করা নোংরামি। এটি যারা করবেন তাদের চিহ্নিত করে রাখা হবে। কাউন্সিলে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। নির্ধারিত আসনে বসতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর মন্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জেল হোসেন চৌধুরী মায়া বৈঠকে বক্তব্য রাখেন।