সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে একটি মহল সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দেয়ার পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক ইস্যুতে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।
শিক্ষার্থীদের ধৈর্যশীল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে কাদের বলেন, এ মুহূর্তে কোনো প্রকার কোটা সংরক্ষিত নেই। এ বিষয়ে আপিল বিভাগ চূড়ান্ত নিষ্পত্তি দেবেন।
বিএনপির সমালোচনা করে কাদের বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের জন্য ইন্দন দিচ্ছে। বিএনপিসহ কিছু দল প্রকাশ্যে সমর্থন জানিয়েছে। এটাকে পলিটিসাইজ করা শুরু করেছে তারা। এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক ফাঁদে ফেলে তাদের অতীতের আন্দোলনের ব্যর্থতার পেছনে রেখে নতুন করে পাঁয়তারা করছে। এই আন্দোলনকে সরকারবিরোধী অন্দোলনে রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে। বিএমপির মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান নেই। মানে তারা এতদিন মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধেই ছিল। তাদের আদালতের প্রতি সম্মান রাখা উচিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোটা নিয়ে দেশের উচ্চ আদালত চার সপ্তাহের স্থিতাদেশ দিয়েছেন। আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি উচ্চ আদালতে বিচার প্রক্রিয়া চলমান এবং আদালতের নির্দেশনার প্রতি কোনো প্রকার সম্মান প্রদর্শন না করে তথাকথিত ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির নামে মানুষের স্বাভাবিক জীবন-যাপন আহত করার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সংবিধানের রক্ষক, আদালতের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। আন্দোলনের নামে জনগণের চলাফেরা, যানবাহন চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা বেআইনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।