ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নতুন কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, রাজনীতির নামে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত কমিশনার’স মিট দ্য প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের কাজ রাজনীতি করা। এখানে পুলিশের কোনো ভূমিকা নেই। আমাদের কাজ হলো আইন শৃঙ্খলা নিয়ে। কেউ মিছিল করবে, মিটিং করবে এটা তাদের রাজনৈতিক অধিকার। কিন্তু কেউ যদি রাজনীতির নামে গাড়ি ভাঙচুর করে, রাজনীতির নাম নিয়ে গাড়িতে আগুন দেয়, রাস্তার গাছ কেটে অবরোধ করে, তাহলে এগুলো ফৌজদারি অপরাধের মধ্যে পড়ে। ফৌজদারি অপরাধ করলে আমরা কঠোর হস্তে দমন করবো, নিয়ন্ত্রণ করবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ফৌজদারি অপরাধ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের সহযোগিতা করবো।’
মাদক নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘সর্বপ্রথম আমাদের মাদকের চাহিদা বন্ধ করতে হবে। কারণ আপনি যদি ডিমান্ড লাইন বন্ধ না করেন, মাদক কোনো না কোনোভাবে আসবে। দুই পদ্ধতিতে মাদক নির্মূল করা সম্ভব। এক হচ্ছে মাদকসেবীদের চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করতে হবে। অন্যদিকে চাহিদা কমে গেলে মাদক ব্যবসায়ীরা এমনিতে ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। তখন মাদক নিয়ন্ত্রণে আসবে। এই দুটি উদ্যোগকে নগরবাসী সমর্থন করলে মাদক নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহ বন্ধ করা সম্ভব। আমি মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলব তারা যেন মাদকসেবীদের চিকিৎসায় হাসপাতালগুলোর মান উন্নয়ন করে এবং হাসপাতালের সংখ্যা বাড়ায়।’
কমিশনার বলেন, ‘বিভিন্ন কারণে আমাদের দেশে জঙ্গিদের তৎপরতা কমছে না। আমাদের পুলিশ ও জনগণের অ্যাকশনের ফলে তারা পুরোপুরি শান্ত হয়ে যায়। কয়েক বছর পর তারা আবারও সক্রিয় হয়ে ওঠে। তাদের এই তৎপরতাকে বন্ধে পুলিশের সাইবার বিভাগের নজরদারি বাড়ানো, ফেসবুক ইউটিউব মনিটর করা হয়। এজন্য আমাদের সাইবার টিম চব্বিশ ঘণ্টা বিষয়টি মনিটরিং করে। জঙ্গিরা নিজের বাসায় থাকে না তারা ভাড়া বাসায় থাকে।’ জঙ্গি তৎপরতারোধে নগরবাসীর কাছ থেকে ভাড়াটিয়াদের তথ্য সংরক্ষণ কাজটি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।
ডিএমপি কমিশনার জানান, যানজট নিরসনে নানারকম পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পুলিশের কেউ অপরাধে জড়ালে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ঢাকার পুলিশ প্রধান।