শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দলোন ও রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ বলছে, রবিবার (৭ জুলাই) বিকাল থেকে পুরান ঢাকা, রমনা, মতিঝিল, শাহবাগ, ধানমন্ডি, গুলিস্তান, লালবাগ ও ওয়ারী এলাকার বিভিন্ন স্থানে অন্যান্য দিনের তুলনায় যানজট বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যারা এসব এলাকায় যাতায়াত করবেন, তারা যেন হাতে পর্যাপ্ত সময় নিয়ে বের হন।
রবিবার (৭ জুলাই) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক-দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে শোভাযাত্রা দুপুর তিনটায় রাজধানীর স্বামীবাগ ইসকন মন্দির থেকে শুরু হবে। রথযাত্রাটি জয়কালি মন্দির মোড়, ইত্তেফাক মোড়, শাপলা চত্ত্বর, দৈনিক বাংলা মোড়, রাজউক ক্রসিং, গুলিস্তান, গোলাপশাহ মাজার, পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, সরকারি কর্মচারী হাসপাতাল, হাইকোর্ট মাজার, দোয়েল চত্ত্বর, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, জগন্নাথ হল ও পলাশী হয়ে ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে গিয়ে শেষ হবে।
এই রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে পুরান ঢাকায় যাবেন। এ কারণে এই এলাকাতেও যানজট বাড়বে। এ সময় এসব সড়কে চলাচল করা যানবাহনকে বিকল্প রাস্তা ব্যবহারের অনুরোধ জানানো হয়।
কোটাবিরোধী আন্দোলন ও সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সড়কে যেন জনসাধারণের দুর্ভোগ কম হয় সে জন্য তারা কাজ করেন। বিকেলের দিকে শাহবাগ মোড় বন্ধ থাকে। তারপরও তাদের সীমিত জনবল দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষের যাতায়াত যেন সহজ হয়।
রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় স্থায়ী যানজটের বিষয়ে তিনি বলেন, মহাখালী বাস টার্মিনালের সামনে অবৈধ পার্কিং, অপ্রয়োজনীয় ইউটার্ন সব মিলিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনাল পার হওয়া ছিল নগরবাসীর কাছে এক ভোগান্তির নাম। কিন্তু ডিএমপির ট্রাফিক পুলিশের শক্ত অবস্থানে সেই চিরচেনা যানজটের রূপ পাল্টেছে। সড়কে ফিরেছে শৃঙ্খলা, স্বস্তিতে যাতায়াত করছেন নগরবাসী।