রাজধানীর শাহবাগ, প্রেস ক্লাব, গুলিস্তান, মতিঝিল, নয়াবাজার ও শাহজাহানপুর এলাকায় ছয়টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পৃথক পৃথক এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, বেলা দেড়টার দিকে কাটাবন মোড়ে রজনীগন্ধা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এরপর ২টার দিকে হাইকোর্ট মোড়ে আগুন দেওয়া হয় দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে।
এছাড়া বেলা সোয়া ১টার দিকে গুলিস্তানে গোলাপ শাহ মাজারের কাছে ভিক্টোড়িয়া পরিবহনের একটি বাসে এবং সোয়া ১২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপি অফিসের বিপরীত দিকে কর বিভাগের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
এ ছাড়া শাহজাহানপুরে একটি এবং মতিঝিলে আরেকটি গাড়িতেও আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ওয়ালিদ হোসেন বলেছেন, আজ জাতীয় সংসদের ঢাকা-১৮ আসনে উপনির্বাচন চলছে।
“সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির লক্ষ্যে বাসে অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনা ঘটানো হয়েছে।”
আকস্মিকভাবে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বাসে অগ্নিসংযোগের এসব ঘটনায় পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
তবে পুলিশ কর্মকর্তা ওয়ালিদ হোসেন জানিয়েছেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের পুলিশ চিহ্নিত করেছে এবং তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
তিনি বলেছেন, “দুর্বৃত্তরা যাত্রী সেজে বাসে ওঠার পর প্রথমে তারা বাসের সিটে আসনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এরপর বাসের বিভিন্ন অংশে আগুন দিয়ে তারা পালিয়ে যায়।
এতে বাসগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে হতাহতের কোন খবর এখনও আমরা পাইনি।”
এদিকে বিভিন্ন জায়গায় অগ্নিসংযোগের খবর পেয়ে দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে বলে এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
পুলিশের পক্ষ থেকে ঢাকায় নজরদারি এবং নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে।