সাকিব আল হাসানের চোট নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছেই না। বাংলাদেশ দল থেকে বাঁহাতি এ অলরাউন্ডারের চোটের গভীরতা সম্পর্কে পরিষ্কার করে কিছু বলা হচ্ছে না। প্রথম ও দ্বিতীয় এমআরআই রিপোর্ট চেপে রাখা হয়েছে। কেন এই লুকোচুরি– এ নিয়ে মুখও খুলছেন না কেউ। বাংলাদেশ অধিনায়কের পরের ম্যাচে খেলার বিষয়টিও রহস্যে ঘেরা। বিশ্বকাপের কোনো দলের কাছ থেকে এমন অপেশাদার আচরণ আশা করে না কেউ।
গতকাল ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলেননি সাকিব। ২৪ অক্টোবর মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে পারবেন কিনা– এ ব্যাপারে কোনো কিছু জানা যায়নি। সাকিবের না খেলার কারণ জানতে চাওয়া হলে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘আমরা সবাই সিদ্ধান্ত নিয়ে সাকিবকে বিশ্রাম দিয়েছি। কারণ আজ ম্যাচ খেলে চোট বেড়ে গেলে সমস্যা হবে। সে পুরোপুরি ফিট হয়ে পরের পাঁচ ম্যাচে খেললে ভালো।’
চেন্নাইয়ের এম এ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ব্যাটিং করার সময় বাঁ–ঊরুর সামনের পেশিতে চোট পান সাকিব। মাঠেই শুশ্রূষা নিয়ে ব্যাটিং করে গেছেন তিনি। ৫০ ওভার ফিল্ডিং এবং ১০ ওভার বোলিং করেন টাইগার দলপতি। চেন্নাইয়ের ম্যাচ শেষে মাঠ থেকে হাসপাতালে গিয়েছিলেন এমআরআই স্ক্যান করাতে।
বাংলাদেশ দল পরের দিন ১৪ নভেম্বর চেন্নাই থেকে পুনেতে পৌঁছায়। তিন দিন বিশ্রাম নেওয়ার পর মঙ্গলবার প্রথম অনুশীলন করে। নেটে লম্বা সেশন দেখে ভাবা হচ্ছিল ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার জন্য পুরোপুরি ফিট সাকিব। টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনও ইতিবাচক ছিলেন। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে ম্যাচ–পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্ক্যান রিপোর্ট দেখে বুধবার ম্যাচের সকালে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সাকিব খেলবেন কিনা। সাকিব শেষ পর্যন্ত খেলেননি। টস করেছেন সহ–অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে জানায়, ভারতের বিপক্ষে খেলতে চেয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু মেডিকেল টিমের ছাড়পত্র না পাওয়ায় একাদশে রাখা হয়নি।
সাকিবকে নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবির পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চেয়ে ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান জালাল ইউনুসকে ফোন করা হলে তিনি ধরেননি। বিসিবির এ পরিচালক বর্তমানে ঢাকায় রয়েছেন। ধর্মশালা থেকে চেন্নাই পর্যন্ত জাতীয় দলের সঙ্গে ছিলেন জালাল। শারীরিক সমস্যা হওয়ায় দেশে ফিরে গেছেন তিনি।