ঢাকার রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান করে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান রোববার হাই কোর্টের শুনানিতে এ তথ্য জানালে আদালত তিন মাসের মধ্যে এ অনুসন্ধান শেষ করতে নির্দেশ দেয়।
এক রিট আবেদনের নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও খিজির হায়াতের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দিয়েছে দুদককে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান, অপরদিকে ওসি মুনিরুল ইসলামের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাহবুব শফিক।
এর আগে গত ১১ আগস্ট ওসি মনিরুলের আটতলা বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ওসি মনিরুল ইসলাম ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। বাড়ি, প্লটসহ এ বিপুল সম্পদের মালিক তিনি। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।’
‘সরকারি একটি সংস্থার তদন্ত প্রতিবেদনের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে ওসি মনিরুলের এসব অবৈধ সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ সূত্র বলছে, যতটুকু তথ্য পাওয়া গেছে, তার সম্পদের পরিমাণ এর চেয়ে অনেক বেশি।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ‘পুলিশের একজন পরিদর্শক হয়ে ওসি মনিরুল কীভাবে এত সম্পদের মালিক হয়েছেন, তা নিয়ে পুলিশ বিভাগে আলোচনা চলছে। বর্তমানে তিনি নবম গ্রেডে ২২ হাজার টাকা স্কেলে সাকুল্যে সর্বোচ্চ ৫০-৭০ হাজার টাকা বেতন পান। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি এ সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ধারণা করছেন।’
এ প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদের উৎস সম্পর্কে অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে চিঠি দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ বরাবার পাঠানো চিঠিতে আইনজীবী সুমন ওসি মনিরুল ইসলামের সম্পদের অনুসন্ধান করে দ্রুত আইনি পদক্ষেপের ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানান।