রমজান মাসে খামার থেকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৯০–১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে বলে জানিয়েছে দেশের সবচেয়ে বড় চারটি মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান।
এই চার কোম্পানি হলো- কাজী ফার্মস লিমিটেড, আফতাব বহুমুখী ফার্মস লিমিটেড, সিপি বাংলাদেশ এবং প্যারাগন পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিমিটেড।
‘বিগ ফোর’ হিসেবে পরিচিত এই চার প্রতিষ্ঠানকে তলব করে বাজারে ব্রয়লার মুরগির ‘অযৌক্তিক’ মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছিল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আলোচনার পর ওই চার কোম্পানি ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত জানায়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে আলোচনায় তারা দামের বিষয়ে তাদের ব্যাখ্যা দিয়েছে।
কাজী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী জাহিদুল হাসান বলেন, ‘আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। ওনাদের কাছে অনেক তথ্য ছিল না, আবার আমরাও জানতাম না। এখন আলোচনার পরে সিদ্ধান্তে আসতে পেরেছি। এখন থেকে আমরা ফার্মের ফটক থেকে ১৯০–১৯৫ টাকা কেজিতে ব্রয়লার মুরগি পাইকারিতে বিক্রি করব।’
আফতাব বহুমুখী ফার্মের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফজলে রহিম খান বলেন, ‘গত বছর থেকে এই সময়ে ভুট্টা ও সয়াবিনের দাম সর্বোচ্চ ১৩০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। এরপরও পবিত্র রমজানের জন্য আমরা ব্যবসার ক্ষতি করে হলেও আজকে নির্ধারিত দামে ব্রয়লার বিক্রি করব।’ ভুট্টা ও সয়াবিন পোলট্রি খামারে মুরগির খাদ্য তৈরির অন্যতম উপাদান।
এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘সব ধরনের লাভ করার পরও ঢাকার বাজারে ৫০–৬০ টাকা অতিরিক্ত দামে মুরগি বিক্রি হচ্ছে। তবে আজ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বসে আমরা একটা জায়গায় এসেছি, তাতে আশা করি বাজারে দাম কমে আসবে।’