রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে নির্ধারিত সময়ের পর কিছু কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চালু থাকলেও বেশিরভাগ কেন্দ্রে শেষ হয়েছে ভোটগ্রহণ। তারপর শুরু হয় ভোট গণনা।
এদিকে শেষ হওয়া ২১টি ভোটকেন্দ্রের ফলে এগিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২১টি কেন্দের ফলে লাঙল ১২ হাজার ৬১২ ভোট, হাতি ৫ হাজার ১০৯ ভোট এবং নৌকা ৩ হাজার ৯৮৬ ভোট পেয়েছেন।
এবারের রসিক নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণ করলেও বিএনপি মেয়র পদে কোনো প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি কোনো প্রার্থীকে সমর্থনও দেয়নি দলটি।
মহানগরের ২২৯টি কেন্দ্রে ১৩৪৯টি সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের পরেও অনেককে কেন্দ্রে ভোট দিতে দেখা গেছে। এই নির্বাচনে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ২২৯ জন এবং সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ১ হাজার ৩৪৯ জন। মোট পোলিং অফিসার দুই হাজার ৬৯৮ জন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জিএম সাহাতাব উদ্দিন।
রংপুর সিটি করর্পোরেশনের মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন। ২২৯টি কেন্দ্রের বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪৯টি।
মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেস পার্টির আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এছাড়া সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে ৬৮ এবং ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ১৮৩ জন কাউন্সিলর প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।