চিকিৎসাবিদ্যার শিক্ষার্থী সাই পল্লবী, নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন দক্ষিণী সিনেমার অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী হিসেবে। অনেকের কাছে নায়িকা হওয়ার যাত্রাটা স্বপ্নের মতো মনে হলেও, এ যাত্রায় বেশ কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়েছে এই ন্যাচারাল কুইনকে।
অভিনয় জীবনের অনিশ্চয়তা নিয়ে আগে থেকেই জানা ছিলো পল্লবীর, কিন্তু কবে যে এই পেশার প্রেমে পড়ে যান, তা বুঝতেই পারেননি অভিনেত্রী।
চলচ্চিত্র জগতে কাজ করার যেমন কিছু সুবিধা আছে, তেমনই রয়েছে কিছু অসুবিধাও। এর মধ্য অন্যতম হলো শারীরিক-মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়া।
গত কয়েক বছর ধরেই যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ‘মি-টু’ আন্দোলনে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রীরা। ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়ার জন্য অনেক সময়ই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাদের।
এবার এই ‘মি-টু’ এবং শারীরিক-মানসিক নির্যাতনের বিষয়ে নিজের অভিমত জানালেন সাই পল্লবী। তিনি বলেন, ‘শারীরিক নিগ্রহ বা নির্যাতন তো অনেক দূরের কথা। কেউ যদি নোংরা ভাষায় কথা বলে, অথবা কোনোভাবে আকারে-ইঙ্গিতেও মনে হয় যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা হলে মুখ বন্ধ রাখা উচিত নয়। সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ জানানো দরকার।’
১৯৯২ সালের ৯ মে তামিলনাড়ুর নীলগিরির কোটাগিরিতে জন্মগ্রহণ করেন সাই পল্লবী। নাচ ছিলো তার আগ্রহের কেন্দ্রে। কিন্তু ২০১৫ সালে মালয়ালম সিনেমা ‘প্রেমাম’ দিয়ে ঝড়ের মতো হাজির হলেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমায়। সেই ঝড়ে এলোমেলো দর্শকমন। সেই যে দর্শকের মনে গেঁথে গেছেন, রুপালি পর্দায় তাকে নিয়ে উন্মাদনা আর থামছেই না।