বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র মিলে ২১ আগস্ট থেকে শুরু করে অনেক মানুষ হত্যা করেছে, অত্যাচার-নির্যাতন করেছে। আগামীতে যদি আর একজন মানুষেরও ক্ষতি করে, তাহলে যে হাতে আগুন দেবে সেই হাত পুড়িয়ে দেওয়া হবে। যে হাতে মানুষ খুন করবে, সেই হাতকে উপযুক্ত শিক্ষা দেওয়া হবে। এই কথাটা যেন সকলের মনে থাকে।
শনিবার দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের নবগঠিত জাতীয় কমিটি, কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টামণ্ডলী ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের যৌথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
যৌথ সভায় গোপালগঞ্জ, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়াসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উন্নয়নের কথা তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সময়ে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী উন্নয়নসহ ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এসব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে। স্মার্ট বাংলাদেশের জনগোষ্ঠিও হবে স্মার্ট। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত বাংলাদেশ।
তিনি দলকে সুসংগঠিত ও তৃণমূলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকতে হবে, যাতে অতীতের মতো আগুন-সন্ত্রাস ও নাশকতা করে কেউ দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামপর্যায়ে মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো জমি অনাবাদি থাকবে না। সেজন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাই। আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন আমরা নিজেরাই সব কিছু উৎপাদন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়ায় ২৭টি উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন ও একটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।