যুবলীগের নতুন কমিটিতেও আর ঠাঁই পাচ্ছেন না বর্তমান চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ। অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িতদের দলের কোনো পর্যায়েই রাখা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিলেন সংগঠনটির সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির নানক। আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারকরা মনে করেন, যাদের কারণে দল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের বিবেচনায় রাখার সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় শুদ্ধি অভিযান। অভিযানে ক্যাসিনো সম্পৃক্ততা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শীর্ষ দুই নেতা সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। আর সংগঠনটির কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব জব্দের পাশাপাশি দেশত্যাগে জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
চলমান শুদ্ধি অভিযানের মধ্যেই ঘোষণা করা হয় আওয়ামী লীগের চারটি সহযোগী সংগঠনের সম্মেলনের তারিখ। এ অনুযায়ী আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ নভেম্বর। সম্মেলনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে গত ১১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় দলের প্রেসিডিয়াম বৈঠক। তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী।
সম্মেলন নিয়ে যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান নানক বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদককে বাদ দিয়েই নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
নানক বলেন, যুবলীগকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পরে কমিটি করা হবে। নতুন যারা আসবে তাদের অনেক দায়িত্ব থাকবে। তবে যারা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন তাদেরকে ছেটিয়ে বিদায় করা হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ জানান, যেসব যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে তাদের সহযোগী কোনো সংগঠনেই মূল্যায়ন করা হবে না।
তবে আওয়ামী লীগ সভাপতি চাইলে বয়সসীমা সুনির্দিষ্ট করে দিতে পারেন বলে মনে করেন পদপ্রত্যাশীরা।
মহিউদ্দিন মহি বলেন, আগামী দিনের যুবলীগের কমিটিতে ত্যাগী নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন হবে।
২০১২ সালের ১৪ জুলাই সবশেষ সম্মেলন হয় যুবলীগের।