যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই: শেখ হাসিনা
যারা অস্ত্র প্রতিযোগিতায় অর্থ ব্যয় করছে, তাদের কাছে আহ্বান, আমরা শান্তির কথা বলি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব কিছু সমাধান করতে চাই। বিশ্বের এক বিশালসংখ্যক মানুষ এখনো দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছে। কোটি কোটি মানুষ দু’বেলা খাবার পায় না, শিশুরা শিক্ষা পায় না, শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত। যারা অস্ত্র তৈরি ও অস্ত্র প্রতিযোগিতায় এত অর্থ ব্যয় করছে, তাদের কাছে আমার আহ্বান, আমরা শান্তির কথা বলি।
বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘আন্তর্জাতিক জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী দিবস-২০২৪’ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি বৈশ্বিক শান্তি প্রতিষ্টার প্রচেষ্টায় একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে একটি রোল মডেল।
বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ রোল মডেলে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, বর্তমানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ১৩টি স্থানে ৪৯৩ জন নারীসহ ৬০৯২ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ একটি দায়িত্বশীল ও নির্ভরযোগ্য নাম। আমরা সর্বজন স্বীকৃত এবং বিশ্বের বুকে রোল মডেল। এই অর্জনের পেছনে রয়েছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর টেকসই. পরিশ্রমী নিবেদিত প্রাণ সদস্যদের মহান আত্মত্যাগ ও অমূল্য অবদান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জাতিসংঘ শাস্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ৩৬ বছর উদযাপন করছি। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারি দেশ এবং সকলে অত্যন্ত সুনাম ও গৌরবের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন। তিনি এ সময় বিশ্বের নানা প্রান্তে কর্মরত সব বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের শুভেচ্ছা জানান।
১৯৯৭ সালে বাংলাদেশের জাতিসংঘে ‘কালচার অব পিস’ (শাস্তির সংস্কৃতি) প্রস্তাব উত্থাপন করে যা ১৯৯৯ সালে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হওয়ার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেই থেকে প্রতিবছর জাতিসংঘে বাংলাদেশের ‘ফ্লাগশিপ রেজ্যুলেশন’ এই ‘কালচার অব পিস’ সর্বস্মতিক্রমে গৃহীত হয়ে আসছে। পরবর্তীতে জাতিসংঘ ২০০০ সালকে ‘ইন্টারন্যাশনাল ইয়ার অব কালচার অব পিস’ হিসেবে ঘোষণা করে। যার মাধ্যমে শান্তির সংস্কৃতি প্রস্তাবের ২৫তম বর্ষ উদযাপিত হতে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইস।