The news is by your side.

যুদ্ধ ঘোষণার পর ইসরায়েলে গঠিত হয়েছে জাতীয় সরকার

ইরানকে হুমকি দিয়েছেন জো বাইডেন

0 201

হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার পর ইসরায়েলে এখন জাতীয় সরকার গঠিত হয়েছে। অন্যদিকে, ইরানকে হুমকি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে লড়াই অব্যাহত আছে। গাজার পাশাপাশি লেবাননেও বিমান হামলা করেছে ইসরায়েল। এর আগে হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সেনাকে আক্রমণ করে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, হামাসের আক্রমণে এক হাজার ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে ইসরায়েল তাদের নিজেদের দেশের সব জায়গা আবার পুনরুদ্ধার করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক হাজার এখনও পর্যন্ত ৫০ জন ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছেন, ইরান যেন সতর্ক থাকে। যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ জাহাজ ও যুদ্ধবিমান ইসরায়েলের কাছে পৌঁছে গেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইরানকে সতর্ক থাকার হুমকি দিয়েছেন বাইডেন।

বুধবার হোয়াইট হাউসে ইহুদি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের বাইডেন বলেছেন, হামাস যে আক্রমণ করেছে, তা চরম নিষ্ঠুরতা ছাড়া আর কিছু নয়। ইসরায়েলের প্রতি তার আবেদন, তারা যেন যুদ্ধেন নিয়ম মেনে চলে।

ইরান হামাসকে অর্থ ও সামরিক সাহায্য দেয় বলে অভিযোগ। হামাসকে যুক্তরাষ্ট্র, ইইউ, জার্মানি-সহ অনেক দেশ সন্ত্রাসবাদীদের তালিকায় রেখেছে।

হামাসের আক্রমণের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলে ‘ইউনিটি’  বা জাতীয় সরকার গঠিত হলো। অর্থাৎ ক্ষমতাসীন দলের পাশাপাশি বিরোধীরাও ইসরায়েলের সংকটকালীন সময়ে সরকারে শামিল হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুই এই সরকারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

নেতানিয়াহু ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট জোটের নেতা গ্যান্টজকে পাশে নিয়ে টেলিভিশন ভাষণে এই জাতীয় সরকারের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা একটা জাতীয় জরুরি সরকার গঠন করেছি। ইসরায়েলের মানুষ ঐক্যবদ্ধ। আমরাও সব বিভেদ ভুলে এক হয়েছি।’

তিনি বলেছেন, ‘হামাসের সব সদস্য মৃত মানুষে পরিণত হবে। ইসরায়েলের সেনাদের মাথা কাটা হয়েছে। মেয়েদের ধর্ষণ ও হত্যা করা হয়েছে।’

গ্যান্টজ জানিয়েছেন, ‘আমরা পাশাপাশি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে শত্রুদের বার্তা দিতে চাই।’

ইসরায়েলের শান্তিকর্মী বাসকিন ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও হামাসের পণবন্দিদের মুক্তির বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছিল কাতার। তারা বলেছিল, হামাস তাদের হাতে বন্দি সব নারী ও শিশুকে মুক্তি দিক। বিনিময়ে ইসরায়েলও তাদের জেলে বন্দি ফিলিস্তিনি নারীদের মুক্তি দিক। কিন্তু এই নিয়ে আলোচনা করতেই কেউ রাজি নয়।

 

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোয়ানও হামাসের হাতে পণবন্দিদের ছাড়াতে উদ্যোগী হয়েছেন বলে তুরস্কের সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

বাইডেন জানিয়েছেন, তাদের হাতে ১৫০ পণবন্দি রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ অনেক দেশ হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করলেও তুরস্ক তা করেনি। আবার ২০২২ সালে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কও স্বাভাবিক করেছে।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.