যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন, মোদী সরকারের ঘুম ভাঙবে কবে?
রাহুল গান্ধীর দাবি, বেজিং ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু তা মানতেই চাইছে না নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসন
যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চিন। রাহুল গান্ধীর দাবি, বেজিং ভারতের সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে, কিন্তু তা মানতেই চাইছে না নরেন্দ্র মোদীর প্রশাসন।
দেশব্যাপী পদযাত্রায় হাঁটছেন রাহুল। রাজস্থানে পৌঁছেছে সেই ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রা। দউসা জেলায় ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌতকে পাশে বসিয়ে শুক্রবার রাহুল দাবি করেন, চিন পুরোদস্তুর যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘চিন অনুপ্রবেশের নয়, পুরোদস্তুর যুদ্ধের ছক কষছে। ওরা যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে। দেখুন, ওরা কী ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু আমাদের সরকার তা মানতেই চাইছে না। আসলে ভারত সরকার একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে কাজ করছে, সামগ্রিক কৌশল বলে কিছু নেই।’’
আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে রাহুল বলেন, ‘‘চিন আমাদের জমি কেড়ে নিয়েছে। আমাদের সেনাকে মারছে। চিনের বিপদ এখন আর লুকোনো কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু সরকার এ সব দেখেও দেখছে না। চিন লাদাখ ও অরুণাচলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে আর ভারত সরকার ঘুমে মগ্ন!’’
রাহুলের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ কারণ অরুণাচলের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারই জানিয়েছে যে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিন ‘একক ভাবে স্থিতাবস্থা বদলের চেষ্টা’য় রত। তারই ফলশ্রুতি অরুণাচলে দুই দেশের সেনার মধ্যে হাতাহাতি। যে ঘটনায় দুই তরফেই একাধিক সেনা জওয়ান আহত হয়েছেন বলে খবর।
২০২০-তে লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় একই ভাবে দুই পরমাণু শক্তিধর দেশের সেনা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিল। তাতে ভারতীয় সেনার ২০ জন এবং চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ৪ জন সেনাকর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। তার পর থেকে এত বড় সংঘর্ষের কথা শোনা যায়নি।
অরুণাচল প্রদেশের দখল কার হাতে থাকবে, ১৯৬২-তে তা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে পুরোদস্তুর যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল ভারত ও চিন। বেজিংয়ের দাবি ছিল, অরুণাচল তাদের এক্তিয়ারভুক্ত এবং ওই এলাকাকে তিব্বতের অংশ হিসাবেই দেখায় চিন।