তীব্র তুষারপাত ও তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল। বৈরি আবহাওয়ার কারণে সাড়ে তিন হাজার ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন অভ্যন্তরীণ রুটের যাত্রীরা। এছাড়াও ঝড়ের কারণে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে শতাধিক স্কুল।
স্থানীয় এয়ারলাইন স্কাইওয়েস্ট ৩৫০টিরও বেশি বিমান বাতিল করেছে। তারা ইউনাইটেড, ডেল্টা, অ্যামেরিকান, আলাস্কা এয়ারলাইনসের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে পার্টনারশিপে কাজ করে। ওই বিমান সংস্থাগুলো একের পর এক বিমান বাতিল করতে বাধ্য হয়েছে তুষার ঝড়ের জন্য। দেরিতে ছেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার বিমান।
সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা মিনেপলিস, ডেনভার ও ডেট্রয়েট বিমানবন্দরের। এই বিমানবন্দরগুলোতে পরিষেবা কার্যত থমকে গেছে। বিমান ধরতে যারা এসেছিলেন, তারা আটকে পড়েছেন।
এ ছাড়া টরন্টো বিমানবন্দরের পরিস্থিতিও ভয়াবহ। শিকাগোর একের পর এক ফ্লাইট বাতিল হচ্ছে। বস্তুত, বুধবারের পর বৃহস্পতিবারের ফ্লাইটগুলো বাতিল হতে শুরু করেছে। বুধবার বিকেলেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বৃহস্পতিবারের ৪০০টি ফ্লাইট বাতিল। যত সময় গড়াবে বাতিল ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মিনেসোটা ও এর আশপাশের অঙ্গরাজ্যেও আঘাত হেনেছে তুষারঝড়। বৈরি আবহাওয়ার কারণে এক সপ্তাহের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে নর্থ ও সাউথ ডাকোটা এবং কলোরাডো অঙ্গরাজ্যের শতাধিক স্কুল। ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর অনলাইনে ক্লাস নেয়া হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১২টি বিমানবন্দরে আবহাওয়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কবে এই পরিস্থিতি শেষ হবে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলা হয়নি।
দেশটির আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, মিনিয়াপোলিসসহ কয়েকটি শহরে সর্বোচ্চ ২০ ইঞ্চি পর্যন্ত তুষারপাত হতে পারে। আর ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে ঘণ্টায় ৭২ কিলোমিটার বেগে।
- Design