অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এতে ২২টি জেলার ডিসি ও ইউএনও অংশ নেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মাহমুদুল হোসাইন খান।
এ বিষয়ে মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘মোখা’ মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়াও অনেকগুলো বিষয়ে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি। এনজিওসহ সবাইকে সম্পৃক্ত করে প্রস্তুতি গ্রহণ করতেও বলা হয়েছে।
শুকনা খাবার, দিয়াশলাই ও মোমবাতি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। উদ্ধারকারী বোট, ট্রলার ও গাড়িগুলো এমনভাবে প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে তা যে কোনো মুহূর্তে কাজে লাগানো যায়। শুকনা খাবার, দিয়াশলাই ও মোমবাতি প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। চালকদের মোবাইল নম্বরসহ সবকিছু হাতের কাছে রাখতে বলা হয়েছে বলে জানান মাহমুদুল হোসাইন।
তিনি বলেন, এসময় বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। এতে করে যদি সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, সেক্ষেত্রে যেন হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশেনার অপেক্ষায় না থাকতে হয়। প্রতিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তার টিমকে সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রাখবেন এবং যোগাযোগ রক্ষা করে চলবেন।
যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চাইবেন না; তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানতে চাইলে এই সচিব বলেন, প্রথমে তাদের নিয়ে আসার জন্য মোটিভেশন (উৎসাহ) করতে বলা হয়েছে। তাতে যদি সফল না হয়, তাহলে জোর করে হলেও তাদের নিয়ে আসতে হবে।
মাহমুদুল হোসাইন খান বলেন, ‘কারণ মানুষের ক্ষতি হোক; তা আমরা কখনোই চাইব না। জোর করে হলেও তাদের কাছাকাছি আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে নিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বয়স্ক, শিশু ও নারীদের অবশ্যই অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাদের অবশ্যই সম্মানজনকভাবে রাখতে আমরা বলে দিয়েছি।’
তিনি জানান, খাবার পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট পর্যাপ্ত পরিমাণে দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে সব জায়গায় চলে গেছে। প্রয়োজনীয় ওষুধ সামগ্রীসহ মেডিকেল টিমও প্রস্তুত আছে।
সচিব বলেন, ঝড় মোকাবিলায় ডিসি ও ইউএনওদের প্রস্তুতির কথাও আমরা শুনেছি। সেই মোতাবেক তাদের সতর্ক থাকতে বলেছি। কেবল প্রস্তুতি নিলেই হবে না; তা বাস্তবায়ন করতে হবে।