প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তাঁর দল অংশগ্রহণ করবে না, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দিল্লিতে রবিবার যখন মোদী ও তাঁর সঙ্গীরা শপথ পাঠ করছেন, কলকাতায় নিজের ঘর অন্ধকার রেখে ‘প্রতীকী প্রতিবাদ’ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাষ্ট্রপতি ভবনে এ দিন সন্ধ্যায় শপথ গ্রহণ ছিল মোদীর নেতৃত্বে এনডিএ মন্ত্রিসভার। মোদী, অমিত শাহ-সহ বিজেপির প্রধান নেতাদের শপখ পাঠের সময়ে নিষ্প্রদীপ ঘরে নীরবেই প্রতিবাদ পালন করেছেন মমতা। তাঁর মন্তব্য, ‘‘চিটিংবাজি করে কেন্দ্রে এই সরকার হয়েছে! তার বিরুদ্ধে এটা আমার প্রতীকী প্রতিবাদ।’’
তৃণমূল নেত্রীর মতে, নানা রকম কারচুপি করে এবং ‘অন্যায়’ পথে মোদী ফের সরকার গড়েছেন। বার বার বলা সত্ত্বেও ভোটের সময়ে অন্যায় রুখতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন। এ সবের প্রেক্ষিতেই প্রধানমন্ত্রীর শপথ বয়কট করে অন্ধকারে প্রতিবাদের পথ বেছে নিয়েছিলেন মমতা। কালীঘাটে শনিবার দলের সাংসদ, নেতা ও জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকেই তৃণমূল নেত্রী এই প্রশ্নে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘অগণতান্ত্রিক, অসাংবিধানিক সরকার তৈরি করছে।’’ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার পরে প্রধানমন্ত্রীর আসন মোদীর ছেড়ে দেওয়া উচিত ছিল বলেও মনে করেন মমতা। তাঁর যুক্তি, দেশে এ বারের রায় মোদীর ‘স্বৈরতন্ত্রে’র বিরুদ্ধেই। মমতা কালীঘাটের বৈঠকের পরেই বলেছিলেন, ‘‘এত বড় হারের পরে মোদীবাবুর উচিত ছিল এটা (প্রধানমন্ত্রিত্ব) অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া!’’
তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশী। কিন্তু তৃণমূল নেত্রীর ঠিক করে দেওয়া অবস্থান মেনেই সুদীপ বা দলের অন্য কোনও নেতাই ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন না।