পুরোটা সময় ডাগ আউটে বসে থাকলেন লিওনেল মেসি। শুরুর একাদশে তিনি থাকবেন না জানাই ছিল। কিন্তু বদলি তালিকায়ও থাকবেন না কে ভেবেছিল! কারণটা অনুমেয়। সমুদ্রপৃষ্ট থেকে সাড়ে তিন হাজার ফুটের বেশি উচ্চতার লাপাজ স্টেডিয়াম যে নরক নামে পরিচিত। আগন্তুকদের সেখানে নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। চোখ-মাথায় ঝিম ধরে। লাপাজ স্টেডিয়ামকে অনেকে ‘নরক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তিন হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় অবস্থিত স্টেডিয়ামটিতে আগন্তুকদের নিঃশ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
ওই মাঠে মেসিকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি কোচ লিওনেল স্কালোনি। ২০০৯ সালে সেখানে ৬-১ ব্যবধানে হেরে যাওয়ার খড়গ মাথার ওপর থাকলেও কোচ ভরসা রেখেছিলেন কাতারে বিশ্বকাপ জেতা দলের অন্যদের ওপর। তারা নিরাশ করেননি। নরক খ্যাত লাপাজে ফুটবলের ফুল ফুটিয়ে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দ্বিতীয় ম্যাচে বলিভিয়ার বিপক্ষে প্রথমার্ধে ম্যাচের লাগাম হাতে নিয়ে নেয় আর্জেন্টিনা। শুরু থেকে কর্তৃত্ব করতে থাকা দলটি ৩১ মিনিটে প্রথম লিড নেয়। জালে বল পাঠিয়ে দেন চেলসিতে খেলা আলবিসেলেস্তেদের তরুণ মিডফিল্ডার এনজো ফার্নান্দেজ।
একটু বাদেই লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন স্বাগতিক দলের ডিফেন্ডার রর্বাতো ফার্নন্দেজ। ম্যাচ আরও সহজ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার জন্য। ৩৯ মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় লাতিন দলটি। দুই মিনিট বাদেই গোল করেন আর্জেন্টিনার লেফট ব্যাক নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো। ডি মারিয়ার ছোট্ট করে নেওয়া ফ্রি কিকে হেড দেন তিনি।
এরপর শেষ দিকে গোল করে দলের জয়ের ব্যবধান বড় করেন তরুণ উইঙ্গার নিকোলাস গঞ্জালেস। ইতালির লিগে খেলা নিকো ম্যাচের ৮৩ মিনিটে দলকে ৩-০ গোলের বড় জয় এনে দেন। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের দুই ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কাতার বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা।