স্বপ্নের মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হিসেবে রাজধানীর উত্তরা থেকে আগারগাঁও স্টেশনে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেলের প্রথম এই যাত্রার যাত্রী হিসেবে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রিসভার সদস্য ও আমন্ত্রিত অতিথিরা।
আজ বুধবার বেলা দুইটা ১০ মিনিটে ট্রেনটি আগারগাঁওয়ে পৌঁছায়।
এর আগে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর উত্তরার পাঁচ নম্বর স্টেশন থেকে টিকিট কাটেন প্রধানমন্ত্রী। তারপর কার্ড পাঞ্চ করে স্টেশনের তৃতীয় তলায় ওঠেন। সেখানে গিয়ে সবুজ পতাকা ওড়ালে প্রথম ট্রেনটি স্টেশন ছেড়ে যায়। দুপুর পৌনে দুইটায় ২ নম্বর বগিতে ওঠেন। তারপর ট্রেনটি উত্তরার উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁওয়ের উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
এ সময় মেট্রোরেলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন ছোটবোন শেখ রেহানা। এ ছাড়াও দুই শতাধিক ব্যক্তি যাত্রী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী হন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থী, মসজিদের ইমাম, পোশাককর্মী, রিকশা চালক, সবজি বিক্রেতা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী আর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মেট্রোরেলের উদ্বোধনী ফলকের প্রতিরূপ (রেপ্লিকা) জনসম্মুখে উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। সুধী সমাবেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা বাংলাদেশের অহংকারের আরেকটি পালক সংযোজন করতে পারলাম।’
সরকারপ্রধান বলেন, অনেক টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়েছে। এই মেট্রোরেল সংরক্ষণ করা সবার দায়িত্ব। যাতে মেট্রোরেলের কোনো কিছু নষ্ট না হয়, সে জন্য তিনি সবাইকে তা ব্যবহারে যত্নশীল হতে বলেন।
সাধারণ যাত্রীরা মেট্রোরেলে চড়তে পারবেন আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল আটটা থেকে।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আজ উদ্বোধনের পর মেট্রোরেল চলাচল করবে সীমিতভাবে। আগামী ২৬ মার্চ থেকে উত্তরা-আগারগাঁও পথে পুরোদমে যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে মেট্রোরেল। উত্তরা–আগারগাঁও পথের জন্য ৬ কোচবিশিষ্ট ১০টি ট্রেন প্রস্তুত করা হয়েছে।