পুনম পাণ্ডে মৃত না কি জীবিত সেই সন্দেহ ছিলই। শুক্রবার সকালের পোস্টের পর তোলপাড় হয়ে গিয়েছে গোটা বলিউড। তাঁর মৃত্যুসংবাদে সমবেদনা জানিয়েছেন কঙ্গনা রানাউত থেকে অনুপম খেরের মতো ব্যক্তিত্ব। পুনম বেঁচে নেই, বিশ্বাস করতে পারছিলেন না তাঁর বন্ধু মুনাওয়ার ফারুকিও। অবশেষে নাটকে যবনিকা পতন। নিজেই প্রকাশ্যে এলেন পুনম। জানালেন তিনি ‘বেঁচে আছেন’। তবে নিখোঁজ হওয়ার নেপথ্যে ছিল কারণ।
পুনমের অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দিয়ে জানানো হয় জরায়ু-মুখের ক্যানসারে মৃত্যু হয়েছে অভিনেত্রীর।
পোস্টে লেখা হয়, ‘‘দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি জরায়ুর ক্যানসারে আমরা আমাদের প্রিয় পুনমকে হারিয়ে ফেললাম। দুঃখের এই সময়ে, আমরা আপনাদের কাছে সব রকম গোপনীয়তার জন্য অনুরোধ করব। আমরা স্নেহের সঙ্গে ওকে স্মরণ করব।’’ খবরটা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই জল্পনা ছিল আদৌ কি সত্যি, না কি গোটাটাই গুজব? বেলা বাড়তেই অভিনেত্রীর সহকারীর তরফে তাঁর মৃত্যুর খবরে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
শুক্রবার দিনভর পুনমের মৃত্যু নিয়ে জলঘোলা চলে। নতুন নতুন তথ্য আসে। কখনও জরায়ু-মুখের ক্যানসার, কখনও মাত্রাতিরিক্ত মাদক। মায়ানগরীতে কেউই যেন বিশ্বাস করে উঠতে পারছিলেন না ‘পুনম নেই’। প্রায় এক দিনের সাসপেন্স, তার পরই বেঁচে উঠলেন পুনম।
শনিবার বেলায় নিজের ইনস্টাগ্রাম থেকে ছোট্ট একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে জানান তিনি বেঁচে আছেন।
আসলে মৃত্যু নিয়ে এই লুকোচুরির নেপথ্যে ছিল কারণ। জরায়ু-মুখের ক্যানসার নিয়ে মহিলাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ছিল তাঁর উদ্দেশ্য। মহিলাদের এই টিকার কী প্রয়োজনীয়তা সেটাই জানান পুনম।
অন্তর্বতী বাজেট পেশের দিন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণও কিশোরীর মেয়েদের জরায়ু-মুখের ক্যানসারে নিরাময়ের টিকার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। তার পরের দিনই পুনমের এই পোস্ট, গোটা এক দিন টানটান রহস্য। তবে কি অর্থমন্ত্রীর কথাকেই গুরুত্ব দিয়ে এমন কাণ্ড ঘটালেন তিনি! জল্পনা রয়েই গেল।