রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে জান্তার লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন (এলআইবি) ৫৩৯।
কিউকতাও শহরের কান সাউক গ্রামের নিকটবর্তী এলাকায় তারা আত্মসমর্পণ করে। জাতিগত রাখাইন সশস্ত্র গোষ্ঠী ১১ জানুয়ারি এলআইবি ৫৩৯ এবং আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ৩৭৭-এ আক্রমণ শুরু করে। এর পর গত রোববার আরাকান আর্মি আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন ঘাঁটি দখল করার পর গোটা এলআইবি ৫৩৯ ব্যাটালিয়ন আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘আরাকান আর্মি একটি মেগাফোন ব্যবহার করে এলআইবি ৫৩৯কে আত্মসমর্পণের আদেশ দেয় গত সোমবার সন্ধ্যায়। তারা পরিখায় লুকিয়েছিল। তারা কোনো হামলা চালায়নি। এর পর মঙ্গলবার সকালে আরাকান আর্মির ব্যাটালিয়ন গুলি চালালে তারা সাদা পতাকা উঁচিয়ে কাঁদতে কাঁদতে অসহায়ভাবে বেরিয়ে আসে।’
ভিডিও ক্লিপে দেখা যায়, আরাকান আর্মির সেনারা জান্তা সৈন্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের পাহারা দিচ্ছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, প্রায় ৩০০ জান্তা সেনা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা আত্মসমর্পণ করেছেন।
সোমবার আরাকান আর্মির প্রধান মেজর জেনারেল তুন মায়াত নাইং জান্তা ঘাঁটিগুলোকে আত্মসমর্পণ বা আক্রমণের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সতর্ক করেছিলেন।
এক্সে পোস্ট করে তিনি রাখাইনে জান্তা সৈন্যদের বলেছিলেন, ‘যদি আপনি নিহত বা আহত হতে না চান, তবে সাদা পতাকা তুলে আত্মসমর্পণ করুন।’ শুধু তাই নয়, তিনি জান্তা সৈন্যদের আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেছিলেন। যদি তারা পালাতে চায়, তাহলে জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী তাদের ছেড়ে দেবে বলেও জানিয়েছিলেন।
আরাকান আর্মি মঙ্গলবার মিনবিয়া টাউনশিপের মাউন্ট কাইং তাংয়ে জান্তা আর্টিলারি ইউনিটও জব্দ করেছে। পর্বতটি ছয় মাইল দীর্ঘ এবং দুই মাইল প্রশস্ত একটি জান্তা আর্টিলারি দুর্গ।
সোমবার রাথেদাউং শহরে একটি জান্তা কৌশলগত কমান্ড বেসের কমান্ডারসহ ১০০ জনেরও বেশি সৈন্য আত্মসমর্পণ করেন।
২৭ অক্টোবর থেকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরোধী জাতিগত বিদ্রোহী গ্রুপগুলো হামলা চালিয়ে আসছে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে। এরই মধ্যে সরকারের হাতছাড়া হয়েছে বিশাল এলাকা।