মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের ডাক দিয়েছে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)।
মঙ্গলবার ফেসবুক লাইভে এসে এ ঘোষণা দেন এনইউজির প্রেসিডেন্ট দুয়া লাশি লা।
দুয়া আহ্বান জানিয়ে বলেন, দেশের প্রতিটি কোনো থেকে সব নাগরিককে সামরিক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হবে।
এ সময় দুয়া দেশটির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘মানুষের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
দুয়া বলেন, জনগণের জীবন ও সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব নিয়ে ন্যাশনাল ইউনিটি গভার্নমেন্ট সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মানুষের প্রতিরক্ষামূলক যুদ্ধ ঘোষণা করছে।
নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। এরপর থেকে বিক্ষোভে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করেছে সেনাবাহিনী। আর এ জান্তা সরকারের বিরুদ্ধেই বিদ্রোহের ডাক দিলেন এনইউজির প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু এটি একটি গণবিল্পব, তাই মিয়ানমারের সব নাগরিককে দেশের প্রতিটি প্রান্তে মিং অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে হবে।’
ভিডিও বার্তায় দুয়া সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগ আনেন এবং জাতিগোষ্ঠীগুলোকে সেনাবাহিনীর অবস্থানে ‘অবিলম্বে হামলা’ চালানোর আহ্বান জানান।
এদিকে সামরিক বাহিনীর দ্বারা নিয়োগ পাওয়া আমলাদের পদত্যাগের আহ্বান জানান দুয়া। একই সঙ্গে সীমান্তরক্ষী ও সেনাদের ‘জনগণের সঙ্গে যোগ দিয়ে জনগণের শত্রুদের বিরুদ্ধে হামলা’ চালানোর আহ্বানও জানান তিনি।
জ্যেষ্ঠ জেনারেল মিং অং হ্লাইংয়ের নেতৃত্বে সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিতে অশান্তি বিরাজ করছে। এরপর থেকে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ হচ্ছে নিয়মিত। কিন্তু সেনাবাহিনী বর্বরতা এবং আন্দোলন দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ায় শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে।