The news is by your side.

মিলান ডার্বি: ইন্টার মিলান নাকি এসি মিলান?

0 112

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘মিলান ডার্বি।’ চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মুখোমুখি হচ্ছে ইতালির মিলান শহরের দুই ক্লাব। ‘মিলান ডার্বি’ এমনিতেই মিলানবাসীর ঘুম হারাম করে দেয়। আজকের ‘ডার্বি’ ঘিরে উত্তেজনাটা আরো বেশি। আজ যে দুই দলের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল ভাগ্য নির্ধারণের লড়াই।
২০১০ সালের পর গত ১৩ বছরে এক জুভেন্টাস বাদে ইতালির কোনো ক্লাবই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পা রাখতে পারেনি। আজ নিশ্চিতভাবেই সেই গেরো খুলে যাচ্ছে। ইন্টার মিলান ও এসি মিলানের মধ্যে যেকোনো এক দলই অবশ্যই ফাইনালে উঠতে যাচ্ছে। সেই দলটি কে ইন্টার মিলান নাকি এসি মিলান, সেটাই নিশ্চিত হবে আজ রাতে, মিলানের বিখ্যাত সান সিরো স্টেডিয়ামে। বোঝাই যাচ্ছে, রাতের নিস্তব্ধতায় সান সিরোতে আগুনের স্ফুলিঙ্গ ঝরতে যাচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের ভাগ্য নির্ধারণের লড়াই বলে কথা!
মিলানের দুই ক্লাবের মধ্যে সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছিল ইন্টার মিলান, ২০১০ সালে। পর্তুগিজ হোসে মরিনহোর অধীনে সেবার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়ে শিরোপাও জিতেছিল ইন্টার। ১৩ বছর পর এবারও সেই ইন্টার মিলানই ফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে। গত বুধবার প্রথম লেগে ২-০ গোলে জিতে ফাইনালের পথে অনেকটাই এগিয়ে আছে তারা। দুই দলের মুখোমুখি সাক্ষাতের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতেও এগিয়ে ইন্টার মিলানই।
সব মিলে ২৩৬ সাক্ষাতের মধ্যে ইন্টার জিতেছে ৮৮ বার, মিলান জয় হাসি হেসেছে ৭৯ বার। এই মৌসুমে এরই মধ্যে সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তিনবার মুখোমুখি হয়েছে দুই দল। সেই তিনবারই জিতেছে ইন্টার। জয় দূরের কথা, মিলান তিন ম্যাচে একটা গোলও করতে পারেনি। এই অবস্থায় ইন্টার মিলান আজ আবার খেলতে নামছে ‘স্বাগতিক’ হিসেবে।
দুই দলই নিজেদের হোম মাঠ হিসেবে সান সিরোকেই ব্যবহার করে। তবে গত সপ্তাহে প্রথম লেগে স্বাগতিক ছিল এসি মিলান। নিয়মের ফাঁদে পড়ে নিজেদের মাঠেও ইন্টার ছিল অতিথি। আজ সেই অতিথি মিলান। স্বাগতিক হিসেবে সান সিরোর গ্যালারিতে ইন্টারের সমর্থকদের আধিক্য থাকবে। যেটাকে বাড়তি শক্তি হিসেবে ঘোষণা করেছেন ইন্টার কোচ সিমোনে ইনজাঘি। প্রথম লেগে ২-০ গোলের জয়ের পরই তিনি জানিয়ে রেখেছেন, ‘ফিরতি লেগে নিজেদের সমর্থকদের সমর্থন শক্তিকে সঙ্গে নিয়েই আমরা ফাইনালে যেতে চাই।’

 

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.