প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলার ঘটনায় রমনা থানার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন শুনানি পেছাতে আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। এ নিয়ে আদালতে হহট্টগোল শুরু করেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সোমবার বেলা ২টা ৫০ মিনিটের দিকে এজলাসে বসেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সল আতিক বিন কাদের। এ সময় ঢাকার মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু অসুস্থ জানিয়ে সময় আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। বিচারকের কাছে এ সপ্তাহের মধ্যে শুনানির তারিখ চান মির্জা ফখরুলের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি জয়নুল আবেদীন। এ সময় বিচারক পরে তারিখ নির্ধারণ করতে চান। তবে বিএপপিনন্থি আইনজীবীরা এজলাসেই পরবর্তী শুনানির তারিখ দিতে অনুরোধ করেন।
আদালত তারিখ না দিয়েই অন্য মামলা শুনানি করতে চাইলে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা ডায়াসে দাঁড়িয়ে এখনই শুনানির তারিখ চান। ১০ মিনিটের জন্য আদালত মূলতবি ঘোষণা করে খাসখামড়ায় চলে যান বিচারক।
২ নভেম্বর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে ফখরুলের পক্ষে জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই আদালত শুনানির জন্য ২০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে রমনা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে। মামলায় মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ ৫৯ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।
ফখরুল-আব্বাস ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকতউল্লাহ বুলু, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, আহমেদ আজম খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, নিতাই রায় চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, ভিপি জয়নাল, মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ হালিম ডোনার ও সদস্য সচিব আমিনুল হক প্রমুখ।
২৮ অক্টোবর বিএনপি মহাসমাবেশে হামলার পরদিন ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে মির্জা ফখরুলকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরে দিনভর ডিবি কার্যালয়ে রাখার পর রাতে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাকে।
আদালত আদেশে মির্জা ফখরুলের জামিন শুনানির জন্য আগামী ২২ নভেম্বর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।