মিয়ানমারে চলমান সংকট মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদ কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব। চলমান সংকট পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে তিনি মনে করছেন।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তা কাউন্সিল মিয়ানমার ইস্যুতে নিজেদের হাত গুটিয়ে নিয়েছে। আর এ বিষয়টি আসিয়ান (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট) ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
আসিয়ানের পক্ষ থেকে মিয়ানমারকে পাঁচটি শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে এগুলো বাস্তবায়নে কোনো কার্যকর অগ্রগতি না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে আসিয়ানের পাঁচটি প্রস্তাব আর চলতে পারে না বলেও উল্লেখ করেন।
গত বছর ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আসিয়ান নেতাদের বৈঠক শেষে পাঁচ দফা প্রস্তাব দেওয়া হয়। ওই বৈঠকে মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং উপস্থিত ছিলেন।
আসিয়ানের পাঁচ দফায় বলা হয়েছে—
১. মিয়ানমারে বিবদমান সব পক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে সহিংসতার পথ ত্যাগ করবে ও চূড়ান্ত সংযম পালন করবে।
২. জনগণের স্বার্থে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমস্যা সমাধানের উপায় খুঁজতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে গঠনমূলক সংলাপ শুরু করতে হবে।
৩. আসিয়ানের সেক্রেটারি জেনারেলের সহায়তায় জোটের চেয়ারম্যানের বিশেষ দূত সংলাপে মধ্যস্থতা করবেন।
৪. আসিয়ান মিয়ানমারে মানবিক সহায়তা প্রদান করবে।
৫. আসিয়ানের বিশেষ দূত ও প্রতিনিধিদল বিবদমান পক্ষগুলোর সঙ্গে কথা বলার জন্য মিয়ানমার সফর করবে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের বিষয়ে বরাবরই সোচ্চার মালয়েশিয়ার সরকার।
আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমত বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কোনোই অগ্রগতি নেই। এভাবে এই পাঁচ দফা ঐক্যমত আর প্রাণ ধরে রাখতে পারে না। চলমান পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া হতাশ।
এছাড়াও তিনি মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি যৌন সহিংসতা, নির্যাতন, বেসামরিক নাগরিকদের ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যার অভিযোগ করেন।