অভিনেত্রী কিংবা সাংসদ হিসাবে নয়, গায়িকা হিসাবেও নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন মিমি চক্রবর্তী। পুজোর আগে আসতে চলেছে তারকা সাংসদের পুজোর নতুন গান। সেই মতোই ফেসবুকে একটি টিজার ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। যেখানে লালপাড় সাদা শাড়ি আর সোনার গয়নায় সেজে উঠতে দেখা গিয়েছে মিমিকে। ক্যাপশানে লিখেছেন, এবার আমাদের পুজো শুরু একটু আগে থেকেই…আসছি নিয়ে আমাদের পুজোর গান…Stay tuned for more details।
https://fb.watch/fFesZSveG6/
এই পর্যন্ত তো সব ঠিকঠাকই ছিল! মিমির পোস্ট দেখে আমার, আপনার মতো অন্যান্য নেট নাগরিকরাও গান শোনার জন্য ভিডিয়োটি ক্লিক করেন। আর তাতে সকলকে হতাশ-ই হতে হয়। কিছুই যে শোনা গেল না। কোনও শব্দ ছাড়া, মিমিকে শুধু মুখ নাড়তে দেখে না হেসে পাড়লেন না নেট নাগরিকরা। সারাদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরাও এই ভিডিয়োটি দেখে হাসি মশকরায় মজে রইলেন।
কেউ লিখেছেন, ‘এতো সুন্দর গান যারা শুনতে পাননি তাঁদের মনে প্যাঁচ আছে’। কারোর কথায়, ‘শব্দদূষণবিহীন গান… আহা! এনভায়রনমেন্ট ফ্রেন্ডলি..’, কেউ আবার বলেছেন, ‘প্রতিটি অনুষ্ঠানে এমন গান বাজানো হোক। শব্দ দূষণ হবে না। দারুন উদ্যোগ মিমি চক্রবর্তী, হ্যাটস অফ’। একজন লিখেছন, ‘মিমি চক্রবর্তীর কন্ঠে অসাধারণ নৃত্য দেখে মন শিহরিত হয়ে উঠল’।
আরেক ব্যাক্তি লিখেছেন, ‘প্রথমে ভাবছি মোবাইলের স্পিকার খারাপ হয়ে গেছে’। কেউ আবার নিজেকেই কালা ভেবে বসেছেন, লিখেছেন ‘সবসময় কানে হেডফোন গুঁজে রাখার জন্য আমি বয়রা হয়ে গেছি সত্যিই , … কিছু শুনতে পাচ্ছি না’। আরও একজন লিখেছেন লোকজনেই ভালোবাসা প্রকাশে তাঁরা আপ্লুত, লিখেছেন,’এই ভিডিওতে যারা লাভ রিয়াক্ট দিচ্ছে তাদের ভালোবাসার জোর দেখে আমি আপ্লুত!’ উঠে এসেছে এমনই নানান মন্তব্য।
কিছু লোকজন আবার এই শব্দ ছাড়া ভিডিয়োতে নিজের মতো করে গান, কিংবা কথা বসিয়ে পোস্ট করেছেন, সেগুলিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। তবে কিছু নেটনাগরিকদের দাবি, ভিডিয়োতে আসলে কী গান রয়েছে, তা নিয়ে শ্রোতাবন্ধুদের ধাঁধার মধ্যে রাখাতে ইচ্ছাকৃতভাবেই এভাবে পোস্ট করা হয়েছে। যাতে নতুন এই মিউজিক ভিডিয়ো নিয়ে সকলের মধ্যে আগ্রহ আরও দ্বিগুন হয়। প্রসঙ্গত এর আগে বেশকিছু গানের ভিডিয়ো প্রকাশ করে গায়িকা হিসাবে প্রশংসা কুড়িয়েছেন তারকা সাংসদ। যার মধ্যে দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের উপরও গানের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন মিমি।