আজ আপনার অভিনীত ‘মা’ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে। এই ছবি নিয়ে আপনার প্রত্যাশার কথা জানতে চাই?
অনেকদিন পর এই সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় ফিরলাম– তাই আলাদা এক ধরনের ভালোলাগা কাজ করছে। মনেপ্রাণে চাই, সিনেমাটি সব শ্রেণির দর্শক দেখুক। আমার ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের বলছি, পরিবারের সবাইকে নিয়ে ‘মা’ দেখুন। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। তাছাড়া এই সিনেমার কথা মনে হলেই মনের মধ্যে অন্যরকম টান অনুভব করি।
অন্যরকম টান বলতে কী বোঝাচ্ছেন?
‘মা’ সিনেমার শুটিং থেকে শুরু কাজের প্রতিটি মুহূর্ত স্মৃতি হয়ে আছে। আমার জন্য মা শুধু সিনেমা নয়, একটি ইমোশন। অনেক আবেগ জড়িত এই সিনেমার সঙ্গে। যখন মা সিনেমার শুটিং করি, তখন আমি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। রাজ্যকে পেটে নিয়েই দিনরাত শুটিং করেছি। শুটিংয়ে গিয়ে দেখা যেত, একটু পরপরই আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি। এখন এই সিনেমা ছেলেকে কোলে নিয়ে দেখব– এটি ভাবতেই অন্যরকম ভালোলাগায় মন ভরে যাচ্ছে।
মা হওয়ার আগে মায়ের ভূমিকায় অভিনয়ের প্রস্তুতি কেমন ছিল?
অভিনেত্রী থেকে পরিপূর্ণ শিল্পী হতে চাইলে সব ধরনের চরিত্রে অভিনয়ের সাহস থাকতে হবে। আমি সেই সাহস নিয়েই কাজ করার চেষ্টা করি। তাই সন্তানের প্রতি একজন মায়ের যে আবেগ-অনভূতি কাজ করে, তা ভালোভাবে জেনে নিজের মধ্য আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছি। তারপর ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছি।
মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করলে নায়িকা ইমেজের ক্ষতি হতে পারে– এটি কখনও মনে হয়েছিল?
নায়িকারা মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করলে আবেদন কমে যাবে– এমন কথায় আমি বিশ্বাসী নই। নায়িকা ইমেজ নষ্ট হয় না। আমাদের পাশের দেশের অনেক নায়িকাই মা হয়ে অভিনয় করছেন। তাদের ইমেজ নষ্ট হয়নি। তাই আমারও নায়িকা ইমেজ নষ্ট হবে না বলেই মনে হয়।
এ মুহূর্তে কী নিয়ে ব্যস্ত আছেন?
সন্তানকে সময় দেওয়ার পাশাপাশি ‘মা’ ছবির প্রচারণা নিয়ে কাজ করছি। আপাতত সিনেমা বা অন্য মাধ্যমের কাজ করছি না। আমার কাছে মনে হয়, এখন সন্তানের দেখভালটাই জরুরি। রাজ্যকেই বেশি সময় দিচ্ছি। সংসার গোছাচ্ছি। এভাবেই দিন পার হচ্ছে।