মালাইকা বোন অমৃতা অরোরা বলিউডে ২১ টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ৪৫ বছর বয়সী অভিনেত্রী অমৃতাও সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয়। চলচ্চিত্রের পাশাপাশি রিয়েলিটি শোতেও অংশ নেন অমৃতা।
২০০৯ সালে ব্যবসায়ী শাকিল লাদাককে বিয়ে করেন অমৃতা। শাকিল ও অমৃতা কলেজ থেকে বন্ধু হলেও শাকিল এর আগে অমৃতাকে বিয়ে করেছিলেন। তারপর বিবাহবিচ্ছেদ হয় এবং অমৃতার সাথে বিয়ে হয়।
শাকিলের প্রাক্তন স্ত্রী অভিযোগ করেছেন – এই সম্পর্কের কারণে তাদের বিয়ে ভেঙে গেছে ।
অমৃতার মা জয়েস পলিকার্প একজন মালয়ালি খ্রিস্টান। যেখানে অমৃতার বাবা অনিল অরোরা পাঞ্জাবি। অমৃতার স্বামী শাকিল মুসলিম পরিবার থেকে এসেছেন। অমৃতার বড় বোন মালাইকা অরোরা বিয়ে করেছিলেন আরবাজ খানকে।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারের সঙ্গে সম্পর্ক ৩১ জানুয়ারী ১৯৮১ সালে জন্মগ্রহণকারী অমৃতা অরোরা মাত্র ২২ বছরে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। অমৃতা তার বড় বোন মালাইকার পথ অনুসরণ করে ভিডিও জকি হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ২২ বছর বয়সে, অমৃতা ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কিতনে ডোর কিতনে পাস’ দিয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। এরপর ২২টি ছবিতে কাজ করেছেন অমৃতা।
দুজনের দেখা হয়। বন্ধুর স্বামীর প্রেমে পড়লেন অভিনেত্রী, অন্তঃসত্ত্বা হয়ে সাত রাউন্ড নেন বোনের সাথে প্রকাশ্যে নোংরামি ২০০৮ সালে হিন্দুস্তান টাইমসের সঙ্গে আলাপচারিতায় অমৃতা বলেছিলেন, ‘আমি উসমানকে ভালোবাসতাম।
উসমানের কারণেই আমার দ্বিতীয় প্রেম ক্রিকেট। উসমান তখন ভারতে আসতেন এবং দুজনেই হাই প্রোফাইল পার্টিতে যোগ দিতেন। উসমানের ভাই বলিউডে জমি খুঁজছিলেন, যেখানে অমৃতাও তাকে সাহায্য করেছিলেন। ২০০৬ সালে, তাদের সম্পর্ক নতুন মোড় নেয়।
অমৃতা অরোরা এবং শাকিল লাদাক কলেজের দিন থেকেই বন্ধু ছিলেন। শাকিলের স্ত্রী নিশা ও অমৃতাও বন্ধু ছিলেন। ২০০৫ সালে শাকিলের সাথে অমৃতার বন্ধুত্ব বাড়ে। এরপর শাকিলের বিয়ে নিয়েও জটিলতা শুরু হয়। ২০০৮ সালে শাকিল তার স্ত্রী নিশাকে তালাক দেন।
ডিভোর্সের পর অনেক অভিযোগ করেন নিশা। যেখানে তিনি শাকিল ও অমৃতার সম্পর্ককে ডিভোর্সের কারণ হিসেবেও বলেছেন। যদিও মুম্বাইতে শাকিল ও অমৃতার জমকালো বিয়ে হয়েছিল। তিন ধর্ম মেনে বিয়ে করেছেন অমৃতা।