যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরে চটেছে চীন। প্রতিবাদ জানাতে বেইজিংয়ে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকোলাস বার্নসকে তলব করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
চীনের ভাইস ফরেন মিনিস্টার শিয়ে ফেঙ বলেন, পেলোসির এ সফর ‘অসদুদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, চীন অলস বসে থাকবে না। মঙ্গলবার দিনের শেষ দিকে পেলোসি তাইওয়ানে পৌঁছান।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট সদস্যদের সঙ্গে তিনি বৈঠক করতে পারেন। সফরের বিষয়ে পেলোসি বলেন, তাইওয়ানের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের প্রতি আমেরিকার সমর্থনের অবিচল অঙ্গীকারকে তিনি সম্মান জানাতে চান।
মঙ্গলবার রাতে নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই তাইপে পৌঁছান পেলোসি। স্থানীয় সময় ১০টা ৪৪ মিনিটে তাঁর উড়োজাহাজ তাইপের মাটি স্পর্শ করে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর একটি বিমানে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে তিনি তাইপে পৌঁছান।
পেলোসি তাইপের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে ওঠেন। তাঁর সফরের বিরোধিতা করে হোটেলের বাইরে চীনপন্থী লোকজন বিক্ষোভ করেছেন। পেলোসির সফর ঘিরে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। তাইওয়ানের পূর্বাঞ্চলের জলসীমায় একটি যুদ্ধবিমানবাহী রণতরিসহ চারটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করেছে চীন। আকাশে চক্কর দিয়েছে চীনা যুদ্ধবিমান।
গত ২৫ বছরের মধ্যে তাইওয়ান সফর করা সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ মার্কিন রাজনীতিবিদ পেলোসি। তবে তাঁর এ সফর প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সমর্থন দেননি। তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ড মনে করে বেইজিং। কিন্তু তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবেই দেখে দেশটির জনগণ। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে তাইওয়ানকে অর্থ ও অস্ত্র দিয়ে সহায়তা করে আসছে।