দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন বলেছেন, মামলা দিয়ে আমাকে থামানো যাবে না। জনগণ পাশে আছে। জয় আমাদেরই হবে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে রাজধানীর দয়াগঞ্জ মোড় থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর সময় এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল বুধবার (১৫ জানুয়ারি) ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম বিএনপির এই মেয়রপ্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
সম্পদ বিবরণী দাখিল না করায় ২০১০ সালে ইশরাকের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
মামলা সম্পর্কে ইশরাক বলেন, আমার কাছে সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়েছিল ২০০৮ সালে। নতুন করে সম্পদ বিবরণী চাওয়া হয়নি। তখন আমার বয়স মাত্র ১৮ বছর। তখন আমি একজন ছাত্র। তখনকার সেনা সমর্থিত সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং তাদের পরিবারের সঙ্গে প্রতিহিংসামূলক আচরণ করার উদ্দেশ্যে এই সম্পদ বিবরণীর নোটিশ দিয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০১০ সালে যখন সরকারবিরোধী আন্দোলনে আমার বাবা যুক্ত হন, তখন আমার বাবার ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আমার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকার এই মামলাটি করে।
এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক উল্লেখ করে ইশরাক বলেন, এটি নতুন কোনো ঘটনা নয়। তবে অবশ্যই এটি নতুন করে নাড়াচাড়া করছে সরকার রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করার জন্য।
জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে প্রতিপক্ষ ইশরাককে দমাতে চাইছে অভিযোগ করে বিএনপির এ প্রার্থী বলেন, প্রত্যেক দিন আমাদের জনসমাগম বিপুল পরিমাণে বেড়েই চলছে। এই জনস্রোতে ভেসে যাবে সব। কোনো কিছু আমাদের আটকাতে পারবে না। সরকার এই জনস্রোত, গণজোয়ার দেখে ভিত। তারা নানা অপকৌশল-কূটকৌশল করছে এবং নানা রকম বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে।
‘আমি বলে দিতে চাই– কোনো কিছু কাজ করবে না। জনগণের স্রোতে সব ভেসে যাবে। ভোট ডাকাতির ইভিএমও কাজ করবে না। এই যে জনস্রোতটা সৃষ্টি হয়েছে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে- এটি যেন অব্যাহত থাকে। কোনো কিছুতেই আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। আপনারা আপনাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবেন। আমরা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যে আন্দোলন শুরু করেছি, সেটিকে চূড়ান্ত লক্ষ্যে নিয়ে যাব। আমাদের দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব’— বলেন ইশরাক হোসেন।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, কেন্দ্রীয় নেতা নবীউল্লাহ নবী প্রমুখ।