২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাসের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। পাশাপাশি মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬–এ বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান এ চার্জশিট আমলে নেন।
এদিন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের জন্য আবেদন করেন মির্জা আব্বাস ও তার স্ত্রী আফরোজা আব্বাস। আদালত বিশ হাজার টাকা মুচলেকায় তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। মির্জা আব্বাস দম্পতির আইনজীবী মহিউদ্দিন চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় গত বছরের ২৭ ডিসেম্বর মির্জা আব্বাস, তাঁর স্ত্রী আফরোজা আব্বাসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
দুদকের দেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়, আফরোজা আব্বাসের নামে ২০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৭ হাজার ৮২৮ টাকার যে সম্পদ দেখানো হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে এ সম্পদ তিনি স্বামী মির্জা আব্বাস উদ্দিন আহমেদের সহায়তায় অর্জন করেছেন। আফরোজা আব্বাস একজন গৃহিণী, সে হিসাবে ওই সম্পদ অবৈধ উৎসের আয় থেকে অর্জিত বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। মির্জা আব্বাস ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন। তিনি মেয়র ও মন্ত্রী হওয়ার সুবাদে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ উপায়ে ২০০৭ সালের ১৬ আগস্ট পর্যন্ত আফরোজা আব্বাসের নামে ওই পরিমাণ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন।
২০১৯ সালের ৭ জুলাই দুদকের সাবেক সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মো. সালাহউদ্দিন রাজধানীর শাহজাহানপুর (ডিএমপি) থানায় মামলাটি করেন। মামলায় ২০ কোটি ৭৬ লাখ ৯২ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছিল। দুদকের দাবি, তদন্তে অবৈধ সম্পদ হস্তান্তর, রূপান্তর ও অবস্থান গোপন করার কৌশল অবলম্বন করার অপরাধ প্রমাণিত হয়েছে।
মির্জা আব্বাস বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য। আফরোজা আব্বাস বিএনপির অঙ্গসংগঠন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি।