নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমা বিশ্বের চাপ ও নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, যেকোনো দেশ তার নিজের সুবিধার জন্য নিষেধাজ্ঞা দিতেই পারে। সেটা তাদের ব্যাপার। আমরাও তো মাঝেমধ্যে নিষেধাজ্ঞা দিই। চাপে নয়, বরং তৈরি থাকতে হয়।
শনিবার দুপুরে শান্তিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আমাদের অর্থনীতি চাপের মধ্যে আছে সেটা সরকারপ্রধান নিজেই স্বীকার করেছেন। এর প্রধান কারণ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এর ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ যাদের কাছে আমরা দায়বদ্ধ তারা কষ্টে আছেন। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার নানা কৌশলে কাজ করছে। ফলে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে, বাড়েনি। আগামীতে আরও কমবে। তবে এটা কোনো সংকট নয়। আমাদের রিজার্ভ লাফালাফি করে কমছে। এটা একটা জায়গায় গিয়ে থামবে। আমাদের হাতে এখনো তিন মাসের আমদানি ব্যয় পরিশোধ করার মত রিজার্ভ আছে। এছাড়া আইএমএফ কিন্তু সংকটের কথা বলেনি। তারা অর্থনীতি সমৃদ্ধ করতে নানা রকম দিকনির্দেশনা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিরোধীদলের সরকার পতন ঘটানোর চিন্তা একেবারে অবাস্তব। যেটা অবাস্তব সে বিষয়ে আমি বিশ্বাস করি না। আমি বাস্তবতায় বিশ্বাস করি। যেটা সামনে আছে সেটায় বিশ্বাস করি। সেই বিচারে আমি ঘনকের লাইনে কল্পনাপ্রসূত কথাবার্তায় বিশ্বাস করি না।
সরকার মেগাপ্রকল্পের নামে জনগণের অর্থের অপচয় করছে বিরোধীদলের এমন মন্তব্যের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এগুলো কেউ বিরোধিতার জন্য বলে, কেউ নিজের স্বার্থের জন্য বলে। সেটা তাদের ব্যাপার। কিন্তু দেশের জনগণ যারা দেশের মালিক তারা আরও বেশি পদ্মাসেতু চায়, মেট্রোরেল আরও চায়, টানেল আরও চায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে আরও চায়। এসব নির্মাণ করতে ঝুঁকি অবশ্যই আছে। কিন্তু সেটা মোকাবিলা করার জন্য কৌশল, জ্ঞানবুদ্ধি, বিদ্যা সবই আওয়ামী লীগ সরকারের আছে।
আওয়ামী লীগ সরকার ফের ক্ষমতায় আসতে পারবে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসবে। কারণ দেশের মানুষ উন্নয়নের স্বার্থে, জীবনমান উন্নত করার স্বার্থে জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় বসাবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, শান্তিগঞ্জ আওয়ামী লীগের সভাপতি সুধাংশু শেখর ধর সিতু, সাধারণ সম্পাদক হাসনাত হোসেনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।