আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, জনগণের জানমালের রক্ষা করতে পাড়া-মহল্লায় পাহারাদার হিসেবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন নেত্রী (শেখ হাসিনা)। আমরা সেই কাজটি করছি। ঢাকা শহরে প্রত্যেকটি অলিগলি, রাস্তায়, মোড়ে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, মহিলা লীগ ও শ্রমিক লীগের ভাই ও বোনেরা পাহারাদার হিসেবে রয়েছে।
শনিবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালযের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আরও বলেন, বিএনপির অভ্যাস খারাপ। দোকানপাট খোলা দেখলেই হাত দেবে। সেই জন্য জনগণের জানমালের রক্ষার জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগের হাজার হাজার কর্মী পাহারাদারের কাজ করছে দাবি করে তিনি বলেন, আজ (শনিবার) বিকাল পর্যন্ত দুষ্টু লোকদের (বিএনপি) সভা শেষ না হওয়ার পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকবো।
বিএনপি বিজয়ের মাসকে কলঙ্কিত করতে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করছে বলে দাবি করেন মায়া। তিনি বলেন, তারা এই মাসের পবিত্রতা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। আন্দোলনের নামে তারা সারা দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আজ খেয়াল করে দেখেন তারা নাকি পল্টনে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবে। কেউ বলছে ২৫ লাখ লোক জড়ো করবে। আজকেই সরকার পতন হবে। তারা জানে না আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার কচু পাতার পানি নয়। এই সরকারকে হঠাতে গেলে মাজা ভাঙা বিএনপির পক্ষে কোনোভাবে সম্ভব না। তারা কাগুজে বাঘ। খেয়াল করে দেখেন, কাল মঞ্চ করতে লোকও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, আমরা আগেও বলেছিলাম, এখনও বলি। শান্তিপূর্ণভাবে যে কেউ সমাবেশ করবে আমরা সহযোগিতা করবো। সেই হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। তারা আজ সভা করছে।