মাঙ্কিপক্স এর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে সতর্কতা জারি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এ বিষয়ে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ। বিশেষ করে আক্রান্ত দেশগুলো থেকে আসা যাত্রীদের ওপর সজাগ দৃষ্টিসহ স্ক্রিনিং জোরদার করা হয়। রোববার পর্যন্ত বিমানবন্দরে এ ধরনের কোনো রোগী সনাক্ত হয়নি বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।
বেবিচক কর্মকর্তারা জানান, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল ইসলামের স্বাক্ষর করা বিজ্ঞপ্তিতে এ সতকর্তা জারি করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রীর শরীরে মাঙ্কিপক্সের মতো সন্দেহজনক ও লক্ষণ দেখা গেলে তাকে কাছের হাসপাতালে বা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে আইসোলেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।
বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগের ড. মো. শাহরিয়ার সাজ্জাদ বলেন, বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে আসা কোনো যাত্রীর দেহে মাঙ্কিপক্স উপসর্গ সনাক্ত হলে তা সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) জানাতে হবে।
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মো. কামরুল ইসলাম বলেন, মাঙ্কিপক্সের বিস্তার রোধে সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য বিভাগ। বিমানবন্দরে কোভিড-১৯ সনাক্ত বিষয়ে স্বাস্থ্য কার্ড পূরণ করেন যাত্রীরা। মাঙ্কিপক্স সনাক্তের ক্ষেত্রেও যাত্রীদের স্বাস্থ্য কার্ড (হেলথ কার্ড) পূরণের বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে।
বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ঢাকাসহ দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে সতর্ক থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শনিবার বিশ্বের ১২টি দেশে মাঙ্কিপক্স ছড়িয়ে পড়ার বিষয়ে জানিয়েছে। এর মধ্যে ইউরোপের দেশ যুক্তরাজ্য, স্পেন, পর্তুগাল, জার্মানি, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, নেদারল্যান্ডস, ইতালি ও সুইডেন, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও অস্ট্রলিয়া এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সের রোগী পাওয়ার কথা জানিয়েছে।