The news is by your side.

মহিলাদের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন দরকার: সায়নী গুপ্ত

0 305

 

 

‘হোমকামিং’ আপনার জন্য আক্ষরিক অর্থেই বাড়ি ফেরা! কলকাতায় থেকে শুটিং করেছেন…

হ্যাঁ, একদমই। এর আগেও কলকাতায় শুট করেছি, তবে বাংলায় কথা বলতে হয়নি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে এই ছবি আমার জন্য ঘরে ফেরাই বটে! কলকাতায় প্রায়ই আসি, আমার পরিবার এখানেই থাকে। মোটামুটি বছরে ছ’-সাতবার আসার চেষ্টা করি। বা অন্তত দু’-তিনবার। কলকাতায় এলে অবশ্যই আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি যাই। পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করি। আরসালানের বিরিয়ানি মাস্ট! কলকাতায় নেমেই এটাই আমার ফার্স্ট মিল (হাসি)। কলকাতায় খুব সুন্দর সুন্দর কফিশপ আছে।

মুম্বইতে থাকার সময়ে কী কী মিস করেন কলকাতার?

খাবার অবশ্যই। আর মাঝে মাঝে মা-কে (হাসি)।

‘হোমকামিং’ একটু আলাদা জঁরের ছবি। ঠিক কী কারণে রাজি হলেন?

পরিচালক সৌম্যজিৎ (মজুমদার) খুবই প্যাশনেট ছবির ব্যাপারে। ওঁর নিজস্ব থিয়েটার গ্রুপও আছে। সিনেমা, থিয়েটার সবকিছু নিয়েই ওঁর প্যাশন দেখার মতো। আমার প্রিয় বন্ধু হুসেন দালাল ছবিতে আছে, মনে হয়েছিল আবার একসঙ্গে কিছু কাজ করা যাক। সত্যিই একসঙ্গে কাজ করে প্রবল হুল্লোড় হয়েছে, রীতিমতো পার্টির মেজাজ ছিল!

আপনার চরিত্রগুলো এমনিতেও একটা আর একটার চেয়ে আলাদা হয়। সচেতনভাবেই নিজেকে রিপিট করেন না?

হ্যাঁ, একদম। একই ধরনের চরিত্র বারবার করলে একঘেয়েমি এসে যাবে। দর্শকদেরও, আমারও। জাস্ট ফর দি সেক অফ স্যানিটি, আমি নিজেকে রিপিট করি না। এখন কেরিয়ারের এই পর্যায়ে চরিত্র বেছে নেওয়ার আগেও গল্প, চরিত্র আর পরিচালকের উদ্দেশ্যকেই মাথায় রাখি। কেন অমুক গল্পটা বলব? কেন পরিচালক অমুক গল্প বলতে চাইছেন? কেন ছবির অংশ হব আমি? এইসব প্রশ্নগুলো ঘোরাফেরা করে মাথায়। শুধু কাজ করার জন্যই করতে হবে, তেমনটা কখনও করিনি। প্রথম থেকে এখনও অবধি একইরকম অ্যাটিটিউড রেখে চলেছি।

আগেরবার আপনি বলেছিলেন, ওটিটি আপনার কেরিয়ারের অন্যতম বড় ফ্যাক্টর। ওটিটি একজন অভিনেতার ক্রিয়েটিভ লিবার্টিকে অনেক বেশি জায়গা দেয় না?

ইটস দ্য ভলিউম অফ ওয়র্ক। প্রচুর কনটেন্ট আসছে ওটিটিতে, অনেক ছবি তো থিয়েটারে রিলিজ়ের জন্য বানানোই হচ্ছে না! প্রচুর প্রতিভাকে স্বীকৃতি দিয়েছে ওটিটি। এত অসংখ্য ভাল অভিনেতা, টেকনিশিয়ান, পরিচালক, লেখক সবাইকে সুযোগ দিয়েছে ওটিটি। আর অর্থও দিয়েছে (হাসি)…রেসপেক্টেবল মানি।

‘ফোর মোর শটস প্লিজ়’, ‘পোশম পা’, ‘পাগলাইট’…আরও একাধিক ছবি বা সিরিজ়ে স্ট্রং চরিত্র করেছেন আপনি। মহিলা-কেন্দ্রিক গল্প এখন যেভাবে দেখানো হচ্ছে, তাতে আপনি খুশি?

সত্যি বলতে খুব একটা খুশি নই। মহিলাদের সম্পর্কে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে আরও অনেক পরিবর্তন দরকার। যে চরিত্রগুলো লেখা হয়, সেগুলো আরও সামগ্রিক, আরও ‘হোলসাম’ হওয়া প্রয়োজন। পুরুষ চরিত্র যেভাবে লেখা হয়, মহিলাদেরও যেন তেমনটাই হয়। পার্টস রিটেন ফর মেন অ্যান্ড উইমেন শুড বি সিমিলার। কিন্তু এখন এই দুয়ের মধ্যে কোনও তুলনাই চলে না! আমি বলছি না, মহিলাদের চরিত্রগুলো পুরুষদের মতো করে দিতে। কিন্তু ‘রিয়েল’ স্টোরিজ় নিয়ে লেখা উচিত। কত অসংখ্য গল্প আছে মহিলাদের নিয়ে। বয়স্ক, কমবয়সি, মায়েদের গল্প, দিদিমা-ঠাকুরমাদের গল্প, কলেজের গল্প…নানা শেপ-সাইজ়-ভালনারেবিলিটি-স্ট্রেংথের মেয়েদের গল্প বলা যেতে পারে। কিন্তু এতরকমের গল্প কোথায় দেখি? স্ট্রং উইমেন বললে আমরা একই ধাঁচের মেয়েদের দেখি। এটার পরিবর্তন দরকার।

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.